বাংলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে বৃহৎ বাংলাদেশি দলের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ

বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) বুধবার জানায় যে এটি পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশীদের একটি “উল্লেখযোগ্য” অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে চলা অশান্তির কারণে সারা…

bsf

বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) বুধবার জানায় যে এটি পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশীদের একটি “উল্লেখযোগ্য” অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে চলা অশান্তির কারণে সারা দেশে জারি করা হয়েছিল হয় এলার্ট “হাই অ্যালার্ট”। বিএসএফের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাঁরা প্রায় ১২০-১৪০ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতে অনুপ্রেবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেন তাঁরা।

এই সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিএসএফ বাহিনী “হাই অ্যালার্ট” মোডে ছিল বলে জানা যাচ্ছে। বাহিনীর উত্তর বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ সাম্প্রতিক রটা কিছু “গুজব” দমন করার জন্য একটি বিবৃতি জারি করেছে এবং স্পষ্ট জানিয়েছে যে “বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সীমান্তের দিকে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কোন বিস্তৃত চলাচল ছিল না।” দার্জিলিংয়ের কদমতলাতে অবস্থিত সীমান্ত সদর দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, , “জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে স্থানীয় অস্থিরতার ভয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। বিএসএফ, বিজিবি এবং বাংলাদেশের বেসামরিক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে এই ব্যক্তিদের তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয় এবং তাঁদের বাড়িতে ফিরে যেতে উৎসাহিত করা হয় ।”

   

তীব্র ভারত-বিরোধী ইউটিউবার এবার নয়া বিদেশমন্ত্রী, সুসম্পর্কের পথে কাঁটা বিঁধছে বাংলাদেশ?

বিবৃতিতে বলা হয়, দুপুর ১২টার দিকে আইবির কাছে দুটি সেক্টরে জড়ো হতে দেখা যায় বাংলাদেশি নাগরিকদের । বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের দ্বারা হামলার আশঙ্কায় এই সমাবেশগুলি করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসএফ কর্মীরা “অসাধারণ সতর্কতা” এবং সক্রিয় ব্যবস্থা প্রদর্শন করেছেন এবং এই পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, “সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জড়ো হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব রকম প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। “

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের দুপুর ১২টার দিকে আইবির কাছে দুটি সেক্টরে জড়ো হতে দেখা যায়। বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের দ্বারা হামলার আশঙ্কায় এই সমাবেশগুলি করা হয় বলে যান আগেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসএফ কর্মীরা “অসাধারণ সতর্কতা” এবং সক্রিয় ব্যবস্থা প্রদর্শন করেছে এবং এই পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে যাতে সীমান্তের নিরাপত্তা এবং জড়ো হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা দুটোই নিশ্চিত করা যায়।

একটি সেক্টরে, বিএসএফ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, এবং স্থানীয় বেসামরিক কর্তৃপক্ষ ৩৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে তাঁদের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পরিস্থিতি কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে বিএসএফ অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে।” অন্য একটি সেক্টরে, বাংলাদেশী গ্রামবাসীদের একটি দল আইবি-র কাছে গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, কিন্তু বিএসএফ কর্মীরা এই দলটির সঙ্গে মোকাবিলা করে এবং যাতে পরিস্থিতি “প্রতিকূল” না হয়, সেই লক্ষ্যে তাঁদের সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করে। বিএসএফ মুখপাত্র জানিয়েছেন যে গ্রামবাসীরা তাঁদের বাড়িতে ফিরে যান। বতমানে বিএসএফ উচ্চ সতর্কতা বজায় রাখছেন।

আরেকটি ঘটনায়, সীমান্তের কাছে একটি বিশাল বাংলাদেশী ভিড় দেখা গেলে একটি উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার। বিএসএফ সদস্যরা দ্রুত সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবির সহযোগিতায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন প্রতিরোধ করে এবং ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিএসএফউত্তরবঙ্গ সীমানা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলাগুলিকে কভার করে মোট ৪০৯৬ – কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৯৩২.৩৯ কিলোমিটার অংশ রক্ষা করে।