‘সরকার গদি ছাড়’ দাবিতে অশান্ত বাংলাদেশ, জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে শেখ হাসিনা

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ এখন সরকার পতনের বার্তা! এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাবাহিনীর প্রধান ঘোষণা করেছেন জনগণের পাশেই আছি। তাঁর এমন…

Bangladesh PM Sheikh Hasina Warns

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যু ঘিরে ছাত্র আন্দোলনের অভিমুখ এখন সরকার পতনের বার্তা! এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাবাহিনীর প্রধান ঘোষণা করেছেন জনগণের পাশেই আছি। তাঁর এমন বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা রবিবার তাঁদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জমায়েত শুরু করেছেন। শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অনড় বাংলাদেশের পড়ুয়া ও জনতার বৃহত্তর অংশ। পরিস্থিতি ঘোরতর বলে বিবিসিসহ ঢাকার সংবাদ মাধ্যমের দাবি।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। রবিবার শেখ হাসিনার বাসভবনে বৈঠকে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

   

বাংলাদেশের অন্যতম সংবাদপত্র ‘ইত্তেফাক’ জানাচ্ছে, নিরাপত্তা বৈঠকে ‘২৭ সদস্যের কমিটির সব সদস্য, স্বরাষ্ট্র, তথ্য, আইন, অর্থ, পররাষ্ট্র(বিদেশ), পরিকল্পনা, শিল্প, বাণিজ্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এবং সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানদের এ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।’ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।

সরকার বিরোধী ক্ষোভের মাঝে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের দাবি, ‘জনগণের পাশেই থাকবে সেনা

সংবাদে প্রকাশ সেনারা তিন শাখার প্রধানের সঙ্গে জরুরি আলোচনার পর আগামী পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন শেখ হাসিনা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটি জাতীয় দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ।

আন্দোলন ঘিরে হিংসাত্মক আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কারফিউ জারি করে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

অভিযোগ, আন্দোলন থামাতে সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র ও যুব লীগ সদস্যরা হামলা করেছিল। সেই হামলার প্রত্যাঘাত শুরু করেন পড়ুয়ারা। রক্তাক্ত এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের গুলি চালানো পক্ষপাতদুষ্ট বলে আন্দোলন গণবিক্ষোভে পরিণত হয়। তবে সরকাকের দাবি আদালতের নির্দেশে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে জেনেও পড়ুয়াদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জামাত ইসলামি, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন নাশকতা ছড়ায়। জামাতকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গত জুলাই থেকে যে রক্তাক্ত আন্দোলন ছড়িয়েছে চলতি আগস্টে সেটি আরও বড় আকার নিল। ঢাকার সংবাদ মাধ্যমগুলিতে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমনে সরকারের ভূমিকা ভয়াবহ ও নির্বিচারে গুলি করে খুনের অভিযোগে পড়ুয়াদের অভিভাবক ও জনতা সামিল।

ভাষা শহিদ মিনার থেকে ‘হাসিনার পদত্যাগ’ চাইল পড়ুয়ারা, রক্তাক্ত রবিবারের আশঙ্কা

‘সরকার চায় সমঝোতা’ এমনই দাবি উড়িয়ে দিয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর বিচারের দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগিতার পথে বাংলাদেশের পড়ুয়াদের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ মঞ্চ। তাদের রুখতে দেশজুড়ে গণজমায়েত করছে সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগ। দুপক্ষের সংঘর্ষে রক্তাক্ত ররিবার হবার প্রবল আশঙ্কা।