‘দিল্লি এলে সাধু হয়ে যান মমতা, আদতে শয়তান,’ তীব্র কটাক্ষ অধীরের

দিল্লিতে হওয়া নীতি অযোগের বৈঠকে নাকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগকে ঘিরে এখন রীতিমতো সরগরম হয়েছে রয়েছে…

দিল্লিতে হওয়া নীতি অযোগের বৈঠকে নাকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগকে ঘিরে এখন রীতিমতো সরগরম হয়েছে রয়েছে বাংলা তথা সমগ্র দেশীয় রাজনৈতিক মহল। নীতি আগের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হনহনিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিকে সেই ভালো চোখে দেখেননি। এবার এই ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।

   

তিনি এবার মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) মিথ্যাবাদীর তকমা দিলেন। গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছা করে ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অধীর রঞ্জন। আজ শনিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ‘নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলছেন, আমার মনে হচ্ছে উনি মিথ্যা বলছেন। কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যদি কথা বলতে না দেওয়া হয়, তা খুবই আশ্চর্যজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন সেখানে কী হতে চলেছে। তার কাছে স্ক্রিপ্ট ছিল।’ অধীরের আরও সংযোজন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি এলে সাধু হয়ে যান, কিন্তু বাংলায় তাঁর দল শয়তান হয়েছে যায়।’

উল্লেখ্য, দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বৈঠকে তাঁকে নাকি অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্য সরকারগুলির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত নয়।’ তিনি সভায় বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন তবে তাকে কেবল পাঁচ মিনিটের জন্য কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে শুরু করে শরিক দোলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের ১০-২০ মিনিট কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মমতার অভিযোগ, তাকে সেই সময়টুকু অবধি দেওয়া হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনিই একমাত্র বিরোধী সদস্য যিনি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এটা আপত্তিকর। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, ‘আমি কথা বলছিলাম এবং হঠাৎ আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় । আমি বললাম, আমাকে বাধা দিলে কেন, বৈষম্য করছ কেন। আমি সভায় উপস্থিত আছি, আপনার খুশি হওয়া উচিত, পরিবর্তে আপনি আপনার দল এবং আপনার সরকারকে আরও বেশি করে জায়গা দিচ্ছেন। বিরোধী দলে আমিই একমাত্র ব্যক্তি এবং আপনি আমাকে কথা বলতে বাধা দিচ্ছেন। এটা শুধু বাংলার অপমান নয়, সব আঞ্চলিক দলেরই অপমান।’