২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে দলবদল খেলার সাক্ষী থেকেছিল গোটা রাজ্য। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। অন্যান্য দলেও এই ‘খেলা’ হয়েছিল কিন্তু এই দুই দলের বড় খেলার সাক্ষী ছিল গোটা দেশ।
খেলা হয়েছে। বিজেপি সরকার গড়তে পারেনি। এখন দলত্যাগের ফিরতি স্রোত তৃণমূল কংগ্রেসমুখী। এদিকে ২০২২ সালের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোটের আগে এবারও ‘খেলা’ শুরু হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে যাওয়ার খেলায় সরগরম উত্তর প্রদেশ। সরকারপক্ষ ত্যাগ করে বিরোধী সমাজবাদী পার্টিতে ভিড়ছেন বিজেপি মন্ত্রী ও বিধায়করা।
মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য দলত্যাগ করেছেন। একডজন বিধায়কদের দল ত্যাগের জল্পনায় বিজেপির অন্দরে ভাঙ্গনের শুরু হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে যথেষ্ট অস্বস্তিতে যে পড়েছে গেরুয়া শিবির গতকালই তার ইঙ্গিত মিলেছে।
প্রশ্ন উঠছে, যোগীর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তীরে এসে তরি ডোবার মতো হবে না তো? এনসিবি নেতা শরদ পাওয়ার জানান, অন্তত ১৩ জন বিজেপি বিধায়ক দলত্যাগ করতে চলেছেন। তাঁর মন্তব্যের পরে লখনউ সরগরম।
এ যেন পশ্চিমবঙ্গের দলত্যাগ পর্বের উল্টো ছবি। রামরাজ্য বলে উত্তর প্রদেশকে দাবি করা বিজেপির পক্ষে এমন আঘাতে চিন্তিত মোদী-শাহ জুটি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আরও চিন্তিত। কারণ দলত্যাগ ভাইরাস করোনার মতো সংক্রমণ ছড়ায় তা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অজানা নয়।
একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের যেমন স্লোগান ছিল ‘খেলা হবে’। শেষ হাসি হাসেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এখন আবার মাথার ওপর ঝুলছে পুরভোট। পুরভোটের আগে শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপি দলের অন্দরে ভয়াবহ ভাঙন। একইভাবে ধাক্কা আসছে উত্তরপ্রদেশ থেকে।