কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেও ভূমিপুত্ররা ছিলেন ভরপুর। এদিনও (Mohun Bagan vs East Bengal) ছিল স্বদেশীর হাট। তবে শনিবারের যুব ভারতীতে সাক্ষীর অভাব প্রকট। আনোয়ার নিয়ে নাটক ছিল, আই এস এল – এর ফুট বলারদের দলে নেওয়া হল কিন্তু সমর্থকরা আটকে রইলেন সমাজ মাধ্যমেই। এক পেট খিদে নিয়ে বসে রইল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। মোহনবাগানের মানেজার্স মিটিং -এ না থাকাও মানুষের মাঠমুখো না হওয়ার একটা কারণ হতে পারে।
মোহনবাগানকে নাস্তানাবুদ করতে গোলমেশিনকে মাঠে নামিয়ে দিল East Bengal
২মিনিটে বক্সের মধ্যে পেয়েযান ইস্টবেঙ্গলের তন্ময় দাস বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। ১৮ মিনিটে বিষ্ণুর প্লেসিং অল্পের জন্য বাইরে যায়। এর মধ্যে বিষ্ণু, নসিবরা বেশ কয়েকবার হানা দেয় মোহনবাগান বক্সে কিন্তু গা ছাড়া মনোভাবের জন্য গোল পায়নি। ৩৫ মিনিটে বক্সের মধ্যে আমন সি কে পায়ে জমাতেই পারলেন না। ৪২ মিনিটে সুয়েল ভাটকে অনর্থক ফাউল করে কার্ড দেখেন বিষ্ণু।
East Bengal: ছাংতের ভাই ইস্টবেঙ্গলে?
অতিরিক্ত সময়ে আমন সিকের পাস বক্সের মধ্যে পেয়েও বারের ওপরে মারেন সেই বিষ্ণু। বিষ্ণুর গোলেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে দুজনকে টলিয়ে বাঁ পায়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। ৫৯ মিনিটে বদলি সায়ানের পাস থেকে ফাঁকায় পেয়েও গোল করতে ব্যার্থ হন নসিব। ৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। আমন সি কের ক্রস থেকে জেসিন টিকে গোল করে যান। ৭৬মিনিটে অহেতুক পা চালিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন যোসেফ জাস্টিন।
দশ জন হয়ে যাবার পর একতরফা খেলতে থাকে মোহনবাগান। ৯১ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রিকিক পায় মোহনবাগান। কাজের কাজ কিছু হয়নি। ৯৫ মিনিটে ব্যবধান কমায় মোহনবাগান। দুরন্ত হেডে গোল করেন সোহেল ভাট। শেষ অবধিএকশ বছরের সিএফ এল – রং লাল – হলুদ থাকল। বাইশ জন ভারতীয় চিন্তায় রাখতেই পারেন দুই দলের বিদেশিদের।