চোপড়ায় তরুণ-তরুণীকে নির্য়াতনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আঁচ পৌঁছেছে দিল্লিতেও। এ দিকে চোপড়া যাবেন বলে মঙ্গলবারই তড়িঘড়ি দিল্লি থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছান রাজ্যপাল। কিন্তু সকলে চমকে দিয়ে এ দিন আর চোপড়া গেলেন না সিভি আনন্দ বোস। বরং শিলিগুড়ি থেকেই ফের ধরলেন দেশের রাজধানীমুখী উড়ান! রাজভবনের তরফে খবর, হঠাৎই চোপড়া সফর বাতিল করেছেন রাজ্যপাল।
কেন চোপড়ায় গেলেন না রাজ্যপাল? সেই কারণ সমন্ধে রাজভবনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
তবে স্থানীয়স্তরে জানা গিয়েছে দু’টি কারণে চোপড়ায় যেতে সাহস পাননি রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, বিএসএফ-এর কাটা ড্রেনে পড়ে চার শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে মাসকয়েক আগে চোপড়ায় গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, রাজভবনের তরফে এক লক্ষ টাকা করে হতভাগ্য শিশুগুলির পরিবারকে দেওয়া হবে। কয়েকমাস কাটলেও নাকি সেই টাকা এখনও পর্যন্ত পায়নি মৃত শিশুদের পরিবার। ফলে রাজ্যপালের চৌপড়া আসার খবর জানতে পেরেই ওই নিহত শিশুদের পরিবারগুলো আনন্দ বোসকে ঘিরে বিক্ষোভের উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই খবর পেতেই নাকি পিছটান দেন রাজ্যপাল।
শুভদিন হাতছাড়াতেই চটে লাল মমতা! রথের দিন খুলছে না দিঘার জগন্নাথ মন্দির
অন্য একটি সূত্রে এ-ও জানা যাচ্ছে যে, রাজ্যপালের সঙ্গে চোপড়ার নির্যাতি তরুণ-তরণী শিলিগুড়িতে এসে দেখা করতে রাজি হননি। হুমকি জেরেই এই পদক্ষেপ তাঁদের। পরে জানা যায়, শিলিগুড়িতে বসেই ফোনে ওই নির্যাতিতদের কথা বলেছেন রাজ্যপাল। এরপর আর চোপড়া না গিয়ে শিলিগুড়ি থেকেই দিল্লি ফেরার উড়ানে ওঠেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।