ভোট মিটেছে। ঠিক হয়েছিল আসন্ন রথযাত্রার দিনই (৭ জুলাই) দিঘার অন্যতম আকর্ষণ জগন্নাথ মন্দিরের দুয়ার খুলবে। উদ্বোধনের কথা ছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর। তবে, সোজা রথের দিন খুলছে না দিঘার জগন্নাথ মন্দির। সেই খবর জানতে পেরেই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
কেন নির্ধারিত দিনে খুলছে না সৈকত নগরীর আকর্ষণের জগন্নাথ মন্দির? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, জগন্নাথ মন্দিরের কাজ এখনও শেষ হয়নি। শ্রমিক কমে যাওয়ায় ফলেই কাজের গতি কমেছে।
আর এতেই অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের কতা জেনেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে নবান্নের শীর্ষ মহল। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান সহ উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। কাজ শেষ করতে শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিডকো-র বরাত পাওয়া সংস্থাকে।
কৃত্রিম মেধার প্রয়োগেই বাজিমাত, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের এইসব নিয়মে বড় বদল মমতা সরকারের
রথের দিন উদ্বোধন হল না। তাহলে কবে হবে চালু হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির? মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে পুজোর সময় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শেষ হোক। তবে সরকারি আমলাদের মতে, মন্দিরের কাজ শেষ হতে হতে পুজো পেরিয়ে যাবে। অর্থাৎ দুর্গাপুজো, কালীপুজো শেষ করেই হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন।
পুরীর আদলে দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরিতে ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে জমি কিনে নেয় রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে এই মন্দির তৈরির ঘোষণা করেছিল রাজ্য। এরপর গত বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। রাজস্থান থেকে বেলেপাথর আনা হয় এই মন্দির তৈরির জন্য। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই উচ্চতা হবে দিঘার মন্দিরটির। মন্দিরের পারিপার্শ্বিক নকশাও কিছুটা এক রাখা হয়েছে।
দিঘা–মন্দারমণি–তাজপুরকে নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম তৈরি হয়েছে। এই সব জায়গায় সমুদ্র সৈকতের আকর্ষণে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হলে আগামিদিনে বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ দিঘায় আসবেন বলে ধারণা।