বুলডোজার দিয়ে তিনি হকার উচ্ছেদের বিরোদী বলে নবান্নের বৈঠকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘প্রথমে বসাবেন, তার পর বুলডোজার দিয়ে তুলবেন, হবে না।’ সৈই বৈঠকেই এক মাসের জন্য উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখারও নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই নির্দেশকে বুড়ো-আঙুল দেখাচ্ছে তৃণমূল শাসিত কৃষ্ণনগর পুর প্রসাসন। ফুটপাত দখলমুক্ত করতে শনিবার সকালে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল শহরের গডিয়ে ওঠা একের পর এক ঝুপড়ি।
এ দিন সকাল থেকে বুলডোজার নিয়ে বেআইনি দখল মুক্ত করার কাজ চালাতে শুরু করে কৃষ্ণনগর পুরসভা এবং নদিয়া জেলা প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে জেলাশাসকের দফতরের উল্টো দিকের রাস্তায় অভিযান চলে। এছাড়াও উচ্ছেদ চলে, পোস্ট অফিসের মোড়, সদরের মোড়, নতুন এবং পুরনো বাস স্ট্যান্ড এলাকা, বেলেডাঙা মোড়, এভি স্কুল মোড় এলাকায়।
দিল্লি খেকেই রাজ্যপাল আনন্দ বোসের কড়া পদক্ষেপ! এবার ঘুম উড়বে মমতার?
কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুলডোজার নির্দেশ মানা হল না? কৃষ্ণনগর পৌরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাসের দাবি, ‘শহরের সব ফুটপাত দখল অবস্থায় থাকবে হতে পারে না। হকারদের স্বার্থের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চলাচলের ন্যূনতম ব্যবস্থাও রাখতে হবে। অনুরোধ করার পরেও যাঁরা সরেননি, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
প্রশাসন সূত্রে খবর, টানা তিন দিনের কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকায় লাগাতার প্রচার চালিয়েছিল পুর কর্তৃপক্ষ। শনিবার সেই সময়সীমা পার হয়েছে। তাই রাস্তার ধারে একের পর এক দোকান উচ্ছেদ অভিযানে মেনেছে জেলা প্রশাসন।
নদিয়া জেলার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ মেনেই কাজ চলছে। উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসনের ব্যাপারেও প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে।