মালদায় গোহারা হেরেছে তৃণমূল। জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই পরাজিত জোড়-ফুল প্রার্থীরা। দলের এই পরিণতিতে ফের ফোঁস করলেন তৃমমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। প্রশ্ন তুললেন দলের প্রার্থী বাছাই ও নেতৃত্ব নিয়ে!
দলের জেলা নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মৌসম। বলেছেন, ‘জেলায় কোনও বিধানসভায়, কোনও ব্লকে দলের লিড নেই। এমন ফল ভাবতে পারেনি। বিধায়ক, মন্ত্রী, জেলা সভাপতিদের বুথেও হার। দল যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছিল, যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, ওঁরা কি করলেন?’
উত্তর মালদহের ‘বহিরাগত’ তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন মৌসম। তাঁর কথায়, ‘উত্তর মালদহ আসন জেতার মত অবস্থায় ছিল দল। উত্তর মালদহে প্রার্থী নিয়ে কর্মীদের ক্ষোভ ছিল। বাইরে থেকে কেন প্রার্থী করা হল? তাও কর্মীরা কাজ করেছে, কিন্তু ভোটাররা প্রার্থী মেনে নিতে পারেনি।’
দুর্মুশ রেখা, চাঙ্গা শাহজাহান! ‘ভাই’কে দেখেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, কী বললেন সন্দেশখালির ‘ত্রাস’?
তবে, মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক সম্পর্কে স্তুতি শোনা গিয়েছে মৌসমের মুখে। বলেছেন, ‘দলনেত্রী অনেক চেষ্টা করেছেন। গোটা রাজ্যে নেত্রীর ওপর আস্থা, অথচ মালদহে কোথায় ঘাটতি? আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’ দলের ঘাটতি নিয়ে নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন মৌসম।
২০২১ সালের মৌসমের সভাপতিত্বে মালদহ জেলার ১২টি বিধানসভার মধ্যে আটটিতে জয় পায় তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গ তুলে মৌসম বলেন, ‘জেলা সভাপতি থেকে দলকে ভালো রেজাল্ট দিয়েছিলাম। এবার কেন এত খারাপ ফল? ব্লক, বিধানসভা ধরে ধরে পর্যালোচনা করা হোক।’
এবার লোকসভায় উত্তর মালদহ আসনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন মৌসম। এজন্য প্রস্তুতিও শুরু করেন তিনি। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে মালদহ উত্তরে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রার্থী ঘোষণার পরেই এ নিয়ে আক্ষেপ জানিয়েছিলেন মৌসম। বেশ কয়েকদিন তাঁর খোঁজ মেলেনি। পরে তিনি জানান, নিজে ভোটে দাঁড়ালে বিজেপিকে হারাতে পারতেন, সে জন্যই তাঁর আক্ষেপ ছিল।
আগামী বিধানসভায় ভালো ফলের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতির প্রয়োজন মত মৌসমের।