বাংলা জয়ের পরই ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘বদলা’র হুঁশিয়ারি। তবে, অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে, স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
লোকসভা ভোটের ফল দেখে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক এসেই ভোটগণনা নিয়ে আপত্তি তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, নন্দীগ্রামে গণনায় যা ঘটেছিল, সেই কারচুপিই হয়েছে তমলুকে। আর কাঁথিতে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হওয়ার পরও সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এর তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল নেত্রী।
হুমকির সুরে মমতা বলেন, ‘কাঁথির আসন আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকেরা শংসাপত্র আটকে রেখেছে। পর্যবেক্ষককে কাজে লাগিয়ে, এসব করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। আমি ছেড়ে দেব না। রাজনৈতিক বদলা নেব। দরকারে পুনর্গণনা হবে।’
তৃণমূলের এই জয়ের জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি একা কেন্দ্রীয় সরকার গড়তে না পারার জন্যও নিজের স্বস্তির কথা জানান। মমতা বললেন, ‘আমি খুশি নরেন্দ্র মোদী হেরেছেন। মানুষ ওনাকে জবাব দিয়েছে। ওঁর অবিলম্বে উচিত পদত্যাগ করা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও ইস্তফার দাবি করছি। প্রচারে এসে বলেছিল, আব কি বার ৪০০ পার। এখন নীতীশ আর টিডিপির পা ধরতে হচ্ছে। মোদি-শাহর অহঙ্কার চূর্ণ হয়েছে। এই ফলাফল থেকে বিজেপির শিক্ষা নেওয়া উচিত। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের স্বীকৃতি পায়নি বিজেপি। বাংলায় ভোট পরিচালনা করেছে এক গদ্দার। রাজ্য পুলিশকেও কাজে লাগানো হয়নি। জনমতকে মানতে শিখুন।’
পাশাপাশি আরও একবার বকেয়া ইস্যুতে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘বাংলার বকেয়া অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। বকেয়া না মেটালে আন্দোলন হবে। লজ্জা থাকলে আমাদের টাকা এখনই ফেরত দেওয়া হোক।’
ভোটের আগে এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে তপ্ত হয়েছিল বাংলা। নারী নির্যাতন ইস্যুতে সরব ছিল বিজেপি। গেরুয়া দল সন্দেশখালিরই ‘প্রতিবাদী মুখ’ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে বসিরহাটে। কিন্তু ভোটের ফলে তৃণমূল প্রার্থী বসিরহাট কেন্দ্র থেকে প্রায় ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। যার প্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘সন্দেশখালির মানুষ জবাব দিয়েছেন। মা-বোনেদের স্যালুট। যে বুথে চক্রান্ত করেছিল, সে বুথেও জিতেছে। আমার কাজের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।’