সর্বত্র জমায়েত। কমিশনের নির্দেশ উড়ে গেল ভোটের প্রথম দু ঘণ্টায়। আগ্নেয়াস্ত্রধারী রক্ষীদের কয়েক হাতের মধ্যে তৃণমূলের জমায়েত দেখে যে কোনো সাধারণ ভোটার ভয় পাবেন। অভিযোগ, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে নিরুপদ্রবে ভোট করিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। কেন্দ্রটির অধীন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার গ্রামভিত্তিক বিভিন্ন বুথে বিরোধীদের উপস্থিতি নেই। অভিযোগ, তেমনই অসহায় কমিশন।
বিধায়ক খোকন দাসের নিজের এলাকা শহর বর্ধমানের র়থতলা-কাঞ্চননর এলাকায় প্রচুর লোক অথচ বিরোধী কেউ নেই! ভোট কেন্দ্রের ভিতর পোলিং অফিসার বাকরুদ্ধ। তিনি ইশারায় রক্ষীর দিকে ইঙ্গিত করলেন। রক্ষী মুখ ঘুরিয়ে নিল। এ ঘটনা বর্ধমান শহরের র়থতলা মনোহরদাস বিদ্যালয়ে।
বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। আর একদা ‘লাল দুর্গ’ বলে চর্চিত এলাকাটিতে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী সুকৃতি ঘোষাল। পশ্চিমবঙ্গের কৃষি ও শিল্পাঞ্চল ছড়িয়ে আছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। পূর্বতন বর্ধমান জেলা ভেঙে দুটি জেলা হয়। দুই জেলার মধ্যে মিশে আছে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রটি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দিলীপ ঘোষ তাঁর সংসদীয় রাজনীতির বাঁকের মুখে। তিনি এদিন বর্ধমান শহরের বুথে বুথে যখন ঘুরছেন তখন একাধিকবার তৃ়ণমূল সমর্থকদের মুখোমুখি হন। রিগিং অভিযোগ তুলেছেন তিনি। দিলীপ বলেছেন, ‘তৃণমূলের লোকেরা আমাদের বুথ এজেন্টদের ঢুকতে দিচ্ছে না, আমাদের লোকেদের বের করে দিয়েছে’।
বর্ধমানের একাধিক ভোট কেন্দ্রের মতো দুর্গাপুর থেকেও আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ। কমিশনের খাতায় জমা হচ্ছে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেছেন, মানুষ শান্তিপূর্ণ ভোট দানে অংশ নিয়েছেন।