পিঠে খেলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেটাও আবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali)। সেখানকার মহিলাদের হাতে তৈরি করা। তবে তাঁকে সন্দেশখালিতে যেতে হয়নি। কলকাতায় বসেই সন্দেশখালির পিঠের স্বাদ নিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
গত জানুয়ারি থেকেই আলোচনায় সন্দেশখালি। শাহজাহান বাহিনীর কীর্তি নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে পিঠের প্রসঙ্গ। এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় অনেক মিম হয়েছে। সবেতেই রাজনীতির সূক্ষ কটাক্ষ। নিশানায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
সেই দলের নেতা এবার সন্দেশখালির পিঠে খেলেন। টালা পার্কের এক অনুষ্ঠানে।রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর উদ্যেগে শনিবার এক অনুষ্ঠান হয় টালা পার্কে। খাওয়াদাওয়া নিয়ে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল সন্দেশখালির প্রাকৃতিক ফসল। সেই ফসল থেকে তৈরি খাবার। যা তৈরি করেন সন্দেশখালির মহিলারা।
খাবারের তালিকায় পান্তাভাত থেকে পেলাও এবং পিঠেও ছিল। সেই অনুষ্ঠানের খাবারের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। ক্যাপশনে লিখেছেন, “সন্দেশখালি থেকে আসা প্রাকৃতিক ফসল সম্পদ, সেখানকার মা বোনদের হাতের রান্নায় হরেক পদের মেলা। নানারকম চাল, শাক, মাছ থেকে পিঠে পর্যন্ত।” পূর্ণেন্দু বসুর অনুষ্ঠানে কুণাল ঘোষ ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। সবার ছবিই পোস্ট করেছেন কুণাল।
কথায় আছে পেটে খেলে পিঠে সয়। আর সন্দেশখালির পিঠে খেলে খবর হয়। দু়ঁদে সাংবাদিক কুণাল ঘোষ তা বিলক্ষণ জানেন। তারপরেও তিনি সন্দেশখালির পিঠে খেলেন এবং তা সকলকে জানাতে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন। এটা কী নিছকই সাধারণ বিষয়! নাকি এর পিছনেও অন্য রাজনীতি?