TMC: “আমরা তো ছেড়ে দিয়েছি, তৃণমূল নেতারাই যাচ্ছেন না” দাবি দিল্লি পুলিশের

NIA নিয়ে এবার আরো বড়ো আন্দোলনে তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, ভূপতিনগরে এনআইএ’‌র প্রবেশ এবং মহিলাদের উপর হামলা–সহ বিজেপি নেতার সঙ্গে এনআইএ এসপির ষড়যন্ত্র নিয়ে সুর চড়িয়ে…

tmc

short-samachar

NIA নিয়ে এবার আরো বড়ো আন্দোলনে তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, ভূপতিনগরে এনআইএ’‌র প্রবেশ এবং মহিলাদের উপর হামলা–সহ বিজেপি নেতার সঙ্গে এনআইএ এসপির ষড়যন্ত্র নিয়ে সুর চড়িয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল কমিশনের সদর দফতরে নালিশ জানাতে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁদের দাবি ছিল, ইডি, সিবিআই, এনআইএ, আয়কর দফতরের প্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু কমিশন সেই দাবি না মানায় ২৪ ঘণ্টার জন্য ধরনায় বসে তৃণমূল নেতারা। গতকাল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধরনায় বসা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের জোর করে আটক করা হয়েছিল। সেখান থেকে বাসে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মন্দির মার্গ থনায়। এই আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল গতকাল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন। অভিষেক দাবি করেন রাজ্যপাল তাদের সঙ্গে সহমত হয়েছেন।

   

এই সব রাজনৈতিক তরজা রমাঝে দিল্লি পুলিশ দাবি করল, তৃণমূল নেতাদের তাঁরা ছেড়ে দিয়েছে। তবে তাঁরা নিজেরাই যাচ্ছেন না। আজ সকালে দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আটক হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের তাঁরা ছেড়ে দিয়েছিলেন আগেই। তবে তৃণমূল নেতারা নিজেরাই থানা চত্বর ছাড়ছেন না।

আজ সকালে তৃণমূল নেতাদের থানার সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। সেখানে বসে তাঁদের একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এই ধরনার বসার ১৫ মিনিটের মধ্যে দিল্লি পুলিশ তৃণমূল নেতাদের তুলে দেয় সেখান থেকে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ডেরেক ও’‌ব্রায়েন, সাকেত গোখলে এবং সাগরিকা ঘোষের আঘাত লেগেছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এবার দেখার আজ সকালে তাঁরা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।