সোমবার রাত ৯টার সময় আচমকা রাজভবনে হাজির অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। ব্রাত্য বসু, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ আরও তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা এইদিন রাতে দেখা করলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তাঁরা এইদিন রাজ্যপালকে দিল্লির ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন।
সোমবার দুপুরে তৃণমূলের ১০জনের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। তাঁরা দেখা করার পর নির্বাচন কমিশনের বাইরে বেরিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন এবং সেই মর্মে সেখানে বসে পড়েন। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে সেইস্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যান। সেই প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘‘দিল্লিতে যা হয়েছে, নিন্দনীয়। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। কমিশনের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া হতে পারে না। দিল্লি পুলিশকে কাজে লাগিয়ে অসম্মান করা হয়েছে তৃণমূলের সদস্যদের। টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তোলা হয়েছে। “
শুধু তাই নয়, তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্যপালকে বলেছি, আপনি সংবিধানের ধারক-বাহক এ রাজ্যে। রাজ্যপাল কথা দিয়েছেন, মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন। ইমেলে আমাদের জানাবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ না হলে মঙ্গলবার আমরা এসে কথা বলব।”
এছাড়াও তিনি এইদিন রাতে সংবাদমাধ্যমকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তার বিষয়ে আবার অভিযোগ করেন। এনআইএ এবং বিজেপি নেতাদের যোগসাজশের কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের আক্রমণ করেন তিনি। অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ‘ডিএম, এসপি, ডিজি বদল হতে পারে। তখন আমরা তথ্য আনার পরেও কেন সরানো হবে না? ” এছাড়াও তিনি ঝড়ে বিদ্ধস্তদের অবিলম্বে বাড়ি তৈরির জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার আবেদন জানানোর বিষয়েও সরব হন। সোমবার রাতে অভিষেকের নেতৃত্বে মোট১১জন তৃণমূলের নেতা রাজভবনে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন।