নন্দীগ্রাম: জমি আন্দোলনে স্মৃতি উস্কো দিল সেই নন্দীগ্রাম (Nandigram)। দলীয় কর্মীদের উপর মারধর করার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মীরা। আগামী ১০ ই মার্চ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে কলকাতায় ব্রিগেডে জনগর্জন সভা ডাক দিয়েছে। তার প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে সভা চলছে।
বুধবার বিকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেশপুরে প্রস্তুতি পথসভার করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দু’জন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা। যদি এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের সরগরম নন্দীগ্রাম!
জানা গেছে, বুধবার বিকালে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহেশপুরে প্রস্তুতি পথসভার অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দু’জন তৃণমূল কর্মী অশোক দাস ও ভরত দাস’কে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা ছুটে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এদের মধ্যে আহত অশোক দাস আবার এলাকার প্রাক্তন প্রধানও। রক্তাক্ত জখন দু’জন’কে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে রাস্তা অবরোধ করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম-তেখালি সংযোগকারী রাস্তা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নন্দীগ্রাম থানায় ও তেখালি ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনী।
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন ” ১০ মার্চ জনগর্জন সভায় জনসভার চলছিল নন্দীগ্রামে মহেশপুরে। সভা শেষ বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায়। লোহার রড ও বাটাম দিয়ে হামলা চালায়। দফায় দফায় পাঁচ জনের উপর হামলা চালায় “।
যদি এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস বলেন ” এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এরা নিজেরা মারধর করে বিজেপির নামে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। আর পুলিশ-প্রশাসন সব এদের। তারপরও যদি এভাবে বিক্ষোভ দেখায়, সেটা দুর্ভাগ্যের বিষয় “। নন্দীগ্রাম থানায় এক পুলিশে আধিকারিক বলেন ,”বিষবটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে “।