সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুতে এবার চরম পদক্ষেপ নিল বিজেপি। সন্দেশখালি ইস্যুতে কলকাতায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য এমনিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অনুমতি পায়নি। এহেন অবস্থায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (BJP)।
সন্দেশখালিতে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় ম্যারাথন অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। মধ্য কলকাতায় মহাত্মা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যে অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চ তৈরি হওয়ার কথা ছিল, সন্দেশখালিতে প্রতিবাদী মহিলাদের একাংশকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি নেতৃত্বের।
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, যেহেতু যে জমিতে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেটি সেনাবাহিনীর আওতাধীন, তাই ইস্টার্ন কমান্ডের অফিস থেকে এই বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। বিজেপি জানাচ্ছে, ‘প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রয়োজনীয় অনুমতি দিলেও কলকাতা পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।’ বিজেপির রাজ্য কমিটির এক সদস্য বলেন, পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় লাউডস্পিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও পুলিশের অনুমতি প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক্স-এ তাঁর পোস্টে অমিত মালব্য (Amit Malviya) দাবি করেছেন যে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মাসের শুরুতে একই জায়গায় দু’দিনের ধর্নায় বসেছিলেন এবং কলকাতা পুলিশ এর ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু বিজেপিকে পুলিশের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা স্বেচ্ছাচারী।’
বিজেপি নেতা আরও বলেছেন যে,’ দল নগর পুলিশের অনুমতি প্রত্যাখ্যানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে উপযুক্ত আদালতে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতৃত্বের থেকে সমান হন কী করে? নন্দীগ্রামে তাঁকে হারান শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি আদালতে এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’