জমি কেলেঙ্কারিতে ইডি-র হাতে তাঁকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল জড়িত বলে দাবি করলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পিএমএলএ আদালত চম্পাই সোরেনের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের পক্ষে আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হেমন্ত সোরেন তাঁর গ্রেফতারকে “ভারতের গণতন্ত্রের অন্ধকার অধ্যায়” বলে অভিহিত করেন।
এর আগে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন হেমন্ত সোরেনকে ক্লিন চিট দিয়ে বলেছিলেন যে, তাঁকে এমন কিছু করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে যা তিনি করেননি।
এদিন হেমন্ত সোরেন তাঁর বিধানসভার ভাষণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ জানান। সংস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, কীভাবে তাদের কাছ থেকে “আইনের অপব্যবহার” করা যায় তা শেখা উচিত।
তিনি বলেন, ‘আজ আমাকে ৮.৫ একর জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদি তাদের সাহস থাকে, তাহলে তাদের উচিত আমার নামে রেজিস্টার উক্ত জমির নথি দেখানো। এটা প্রমাণিত হলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব “।
হেমন্ত সোরেন বলেন যে, ২০২২ সাল থেকে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, যা ৩১ জানুয়ারী শেষ হল। তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে আমার গ্রেফতারের চিত্রনাট্য প্রস্তুত ছিল।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা বি আর আম্বেদকরের তুলনা টেনে বলেন, আম্বেদকরকে একসময় তাঁর সম্প্রদায় ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে হয়েছিল, এবং “দেশের আদিবাসী ও দলিতদের বিচ্ছিন্ন করতে” একই পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র আদিবাসী ও দলিতদের প্রতি উদাসীন।
হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘আমরা এখনও হার মেনে নিইনি। ওরা যদি মনে করে আমাকে জেলে ঢুকিয়ে সফল হতে পারবে, তাহলে এটা মনে রাখা উচিত ঝাড়খণ্ডের প্রতিটি প্রান্তে আদিবাসী ও দলিতরা প্রাণ দিয়েছে। “
তিনি বলেন, “ওরা (কেন্দ্র) শুধু ২০১৯-এর পর কেলেঙ্কারির দিকে তাকিয়ে আছে, ২০০০ সালে ঘটে যাওয়া কেলেঙ্কারি তারা দেখতে পাচ্ছে না। তারা চায় না আদিবাসীরা রাষ্ট্রের প্রধান হোক, আইএএস হোক, আইপিএস হোক। “পাঁচ বছরের সরকার, এবং আমি জানতাম যে আমারও একই পরিণতি হবে।