দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিপদ কিছুতেই কমছে না। গতকালের পর আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আবার পৌঁছেছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল। শুক্রবার সন্ধ্যায়, ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল একটি নোটিশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছেছিল, কিন্তু কেউ নোটিশ না নেওয়ায় দিল্লি পুলিশ রাতেই সেখান থেকে ফিরে আসে। বর্তমানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নোটিশ নিতে রাজি হয়েছে। যেখানে ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল বলছে, সিএমও রসিদ দিতে প্রস্তুত নয়।
সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ক্রাইম ব্রাঞ্চের দলও গতকাল রাতে নোটিশ নিয়ে মন্ত্রী অতীশির বাসভবনে পৌঁছেছিল। সেখানেও কেউ নোটিশ রিসিভ করে নি। এমন পরিস্থিতিতে গতরাতে দুই জায়গা থেকেই খালি হাতে ফিরেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত একটি প্রেস কনফারেন্সে, দিল্লির মন্ত্রী অতীশি বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করোছিলেন AAP-এর সাতজন বিধায়ককে দল ছেড়ে যেতে উত্সাহিত করার জন্য প্রত্যেককে 25 কোটি টাকা প্রস্তাব করেছিল।
তিনি দাবি করেছেন যে বিজেপি কেজরিওয়াল সরকারকে উৎখাত করার হুমকি দিয়েছে। অতীশি আরও জানিয়েছেন যে একজন ব্যক্তির সাথে একটি রেকর্ড করা কথোপকথন ছিল, যিনি আম আদমি পার্টিরর একজন বিধায়কের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
কেজরিওয়াল গত সপ্তাহে দাবি করেছিলেন যে তাঁর দলের সাতজন বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি যোগাযোগ করেছে। তার অভিযোগের পর দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেছিলেন, রাজনৈতিকভাবে কেজরিওয়াল কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তার এই ভিত্তিহীন অভিযোগ নিজেকে রাজনৈতিকভাবে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা।
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছানোর পরে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ সচদেব নিজের এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।