India Canada Row: অভিযোগ ভারতের হস্তক্ষেপ, মালদ্বীপের পর এবার সরব কানাডা

কানাডার নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ। কানাডার একটি বিশেষ কমিশন সে দেশের নির্বাচনে ভারতের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই…

কানাডার নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ। কানাডার একটি বিশেষ কমিশন সে দেশের নির্বাচনে ভারতের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই এই কমিশন গঠন করেছিলেন।

কানাডার সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস সম্প্রতি এক রিপোর্টে দেশটির নির্বাচনে ভারতের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেছে। বৃহস্পতিবার ওই রিপোর্টে ভারতকে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, কানাডার শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়া রক্ষায় সে দেশের সরকারকে অবশ্যই আরও কিছু করতে হবে।

কানাডার সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজের টপ-সিক্রেট ব্রিফিং রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যে হস্তক্ষেপ না করলে ভারতের হস্তক্ষেপ আরও খারাপ হবে।

এই প্রথমবার কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হল। চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কানাডার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সদ্য প্রকাশিত গোয়েন্দা রিপোর্টে করা অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বেশ কিছুদিন ধরেই নিজের দেশেই ট্রুডোর বিরুদ্ধে হাওয়া বইছে। তার কাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একই সঙ্গে বিরোধীরা সন্দেহ করছে, চিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাবে। বিরোধীদের এসব অভিযোগের জবাব দিতে ট্রুডোকে একটি কমিটি গঠন করতে হয়েছে। কানাডার নির্বাচনে চীন, রাশিয়া, ভারত বা অন্য কোনো দেশ কতটা প্রভাব ফেলেছে তা খতিয়ে দেখবে এর সদস্যরা। এই তদন্ত হবে ২০১৯ এবং ২০২১ সালের নির্বাচনের উপর।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের “সম্ভাব্য” জড়িত থাকার ট্রুডোর অভিযোগের পরে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক মারাত্মক চাপের মধ্যে পড়ে। ভারত এই অভিযোগগুলিকে “অযৌক্তিক” এবং “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।