শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়িতে অভিযানে গিয়ে রক্ত ঝরেছে ইডি আধিকারিকদের (Attack on ED)। কিন্তু সরবেড়িয়ার সেই তৃণমূল নেতা কোথায় ? ইডি-র তল্লাশি অভিযানের সময় সময় কোথায় ছিলেন শেখ শাহজাহান? ইডি আধিকারিকদের দাবি অভিযান চলার সময় বাড়ির গেটে বাইরে থেকে তালা লাগানো থাকলেও ভিতরে ছিলেন শেখ শাহজাহান।দাবি, শাহজাহান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পালিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করতেই এই হামলা।
ইডি অভিযান চলার সময় শেখ শাহজাহানের বাড়ির গেট বন্ধ ছিল। দাপুটে ওই নেতার লোকেশন বাড়ির ভিতরে থাকলেও এখন তিনি বেপাত্তা।তাতেই উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দাবি করা হয়েছে ওই সময়ে শেখ শাহজাহান বাড়িতেই ছিলেন। অভিযান চালানোর সময় আচমকাই ৮০০ থেকে ১০০০ জন বিক্ষোভকারী ইডি অফিসার এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের ঘিরে ধরে। চলে ইট-পাথর বৃষ্টি। ব্যক্তিগত এবং সরকারি জিনিস চুরি হয়েছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। চুরি গিয়েছে মোবাইল-ল্যাপটপ। খুনের উদ্দেশ্যেই এই হামলা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এই হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
উল্লেখ্য, শনিবারের ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা শাহজাহান শেখ। শুধু শাহজাহান শেখই নয়, তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যেরও দেখা মিলছে না বাড়িতে। সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়া মোড়ে শেখ শাহজাহানের পরিবারের পাঁচটি বাড়ি। চার ভাইয়ের চারটি। আরেকটি বাড়িতে মা থাকেন। এদিন বার বার ডাকাডাকি করা হলেও কারও সারাশব্দ পাওয়া যায়নি।
সন্দেশখালি ঘটনায় কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য লজ্জার। যা হয়েছে, তাতে গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বাংলা আক্রান্ত হয়েছে। গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। কোনও মূল্যেই এটিকে বরদাস্ত করা যায় না। এই পচন আমরা থামাবই। দেশের সংবিধান আছে। আইন ব্যবস্থা আছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে বাংলায় না চলে, তা নিশ্চিত করতে আমরা সবরকম পদক্ষেপ করব।’