শেষ মরশুমের মতো নিজেদের অনবদ্য পারফরম্যান্স বজায় রাখার জন্য এবছর শুরু থেকেই দলবদলের বাজারে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) ম্যানেজমেন্ট। প্রাক্তন অধিনায়ক প্রীতম কোটালের পাশাপাশি দলের একাধিক ফুটবলারদের ছেড়ে দেয় সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। তার বদলে দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক বিদেশী ফুটবলারদের দলে টানে সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট।
তাদের মধ্যে ভারতীয়দের মধ্যে দলে আছেন দাপুটে মিডফিল্ডার সাহাল আব্দুল সামাদ থেকে শুরু করে অনিরুদ্ধ থাপা ও আনোয়ার আলীর মতো ফুটবলার। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই হইচই পড়ে গিয়েছিল দল বদলের বাজারে। তবে ভাগ্য খুব একটা সুপ্রশসন্ন থাকেনি বাগানের।এএফসি কাপ গিয়ে পায়ে চোট পান দাপুটে ডিফেন্ডার আনোয়ার আলী। যার দরুন ছিটকে যেতে হয় এই ফুটবলারকে। অভাবেই বর্তমানে ভুগছে সবুজ-মেরুন ডিফেন্স।
অন্যদিকে, দলের ফরওয়ার্ড লাইনের ধার বাড়ানোর জন্য আনা হয় অজি বিশ্বকাপার জেসান কামিন্সকে। সঙ্গে দলের ফরওয়ার্ড লাইনে গতি বাড়ানোর জন্য আনা হয় আলবেনিয়ান তারকা আর্মান্দো সাদিকুকে। তবে চলতি মরশুমে নিজেদের নামের প্রতি খুব একটা সুবিচার করতে পারেননি দুজনের কেউ। জেসন কামিন্সের পা থেকে গোলের দেখা মিললেও সাদিকুকে নিয়ে একেবারেই খুশি নয় মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। অরুণ নতুন বছরের শুরুতেই হয়তো মোহনবাগানকে বিদায় জানাতে পারেন সাদিকু। কে আসবেন এই ফরোয়ার্ডের বদলে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছে সবুজ-মেরুনের ফিরতে চলেছেন ফিনল্যান্ডের দাপুকে ফুটবলার জনি কাউকো। তবে বছর শেষে নিজের পারফরম্যান্সে খুব একটা খুশি নন জেসন কামিন্স। এই মত দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন এই দাপটে স্ট্রাইকার।
এবছর মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স যে করতে পারেননি, সেটা বুঝতে পারছেন ভালো ভাবেই। নিজের সোশ্যাল সাইট থেকে ক্ষমা চেয়েছেন কামিন্স। বাগান জনতার মনের মত পারফরমেন্স যে এখনো তিনি করতে পারেননি, সেটার উল্লেখ করেছেন তিনি। চলতি মরশুমে মোহনবাগান দলের যে আরো অনেক ভালো পারফরম্যান্স প্রাপ্য সেই কোথায় জানিয়েছেন এই তারকা। তবে পুরনো সমস্ত কিছু ভুলে নতুন বছর থেকে নিজেকে মেলে ধরতে বদ্ধপরিকর এই অজি ফুটবলার। এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।