রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অবশেষে জামিন পেলেন ৪ চাকরিপ্রার্থী। এরসঙ্গেই মোট ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৫৫ জন মহিলা ছিলেন। তাঁরা দু’দিন আগেই জামিন পেয়ে যায়। তবে চারজন পুরুষ চাকরি প্রার্থীর জেল হেফাজত হয়। আজ অর্থাৎ সোমবার জামিন পেলেন তারা। ২ হাজার টাকার বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মিলেছে। তবে ৩০ জানুয়ারি আবারও তাদের হাজিরা দিতে হবে। এর মাঝে হাই সিকিউরিটি জ়োনে যেতে পারবেন না। তাদের এই জামিন দিয়েছে আলিপুর আদালত।
চাকরিপ্রার্থীদের জামিনের বিষয়ে আন্দোলনকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এদিন আদালতে বলেন, “কোনও ডেভেলপমেন্ট নেই। জেলে গিয়ে জেরার কোনও আবেদন করেনি পুলিশ। এই অবস্থায় আমরা জামিন চাইছি।’ আইনজীবী আরো জানিয়েছেন, “বিভিন্ন স্কুলে শূন্য পদ পড়ে রয়েছে। ইন্টারভিউয়ের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েছিলেন এই ছেলে মেয়েরা। মূলত এটা মহিলা চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ছিল। যে চারজন জেলে আছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জনকে চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ফেসবুক লাইভ করছিলেন দু’জন। আগের দিন ৫৫ জন জামিন পেয়েছেন। তাহলে এই ৪ জনের কেন জামিন হবে না”। এরসঙ্গেই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
ফিরদৌস শামিম এদিন আদালতে আরো বলেন, “পুলিশের কেউ আহত হননি। যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে সেখান থেকে অনেক দূরে ছিলেন। অনুমতি নিয়েই গিয়েছিলেন। পেন ছাড়া আর কিছু উদ্ধার হয়নি তাঁদের কাছ থেকে। বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে গিয়েছিলেন ওনারা”।
এবিষয়ে পাল্টা সরকারি আইনজীবী বলেন, “এরা প্রত্যেকেই অন্য কারণে অভিযুক্ত। আগের অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার সময় আদালত তা জানিয়েছে”।
সরকারি আইনজীবী ফের জেল হেফাজতের আবেদন করেন। এরপরই বিচারক সরকারি আইনজীবীর কাছে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান। বিশেষ কোনও অগ্রগতির তথ্য আদালতে দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। সরকারি আইনজীবী বলেন, পুলিশ কর্মীরা যাঁরা আহত হয়েছিলেন সেই মেডিক্যাল সংক্রান্ত বিষয় আছে। এরপরই আদালত চারজনকে জামিন দেন।