অক্টোবরের প্রথম দিকেই পাকিস্তানের জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন (Stephen Constantine)। গত ফুটবল সিজনে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলের হয়ে কোচিং করার পর যুক্ত হয়েছেন এই দলের সঙ্গে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই বিবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল এই হাইপ্রোফাইল কোচকে।
যারফলে, একটা সময় পাকিস্তান দলের দায়িত্ব ছাড়ার কথাও শোনা গিয়েছিল তার তরফ থেকে। সেই সময় একটি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, সেই দেশের মতো ফুটবল পরিকাঠামো নাকি তিনি আগে কখনো দেখেননি। এমনকি সুদূর অতীতে অর্থাৎ নব্বইয়ের দশকেও নাকি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি তিনি। তাই সবকিছু বিবেচনা করেই নাকি দায়িত্ব ছাড়তে তৎপর হতে দেখা গিয়েছিল তাকে। সেজন্য, পাক ফেডারেশনের তরফ থেকে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বিমান টিকিট চাওয়ার কথাও নাকি বলেছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ কোচের এই মন্তব্য পরবর্তীতে চরম বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল পাক ফুটবল সংস্থাকে। কিন্তু সেই সময় দ্বিতীয় ডিভিশনের কোয়ালিফায়ারে কম্বোডিয়ার পাশাপাশি একাধিক দেশের মুখোমুখি হতে হত পাকিস্তানকে। আর এক্ষেত্রে সকলের ভরসা ছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। যদিও পরবর্তীকালে তার সঙ্গে বৈঠকে বসে পাক ম্যানেজমেন্ট। নিজেদের সাধ্য মতো পরিকাঠামো গত উন্নতির কথা উঠে আসে তাদের তরফ থেকে। শেষে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে একের পর এক জয়ের মুখ দেখতে শুরু করে পাকিস্তান দল। এক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখান এই ব্রিটিশ কোচ। বলতে গেলে, পুরোনো সব এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে পাক ফুটবল দল।
তবে এবার আরও এক বিতর্কিত মন্তব্য উঠে আসে এই ব্রিটিশ কোচের তরফ থেকে। একটি মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান এবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। আমরা এখনো পুরো প্রস্তুত না। তিনি আরও বলেন, পাক দলের লক্ষ্য এখন বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করা নয়। বরং এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের হাতে যতটুকু শক্তি রয়েছে তাতে কোয়ালিফায়ার গুলি খেলে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন করার চেষ্টা করতে পারি। এখন সেদিকেই নজর রয়েছে আমাদের।’ উল্লেখ্য, এই ব্রিটিশ কোচকে দায়িত্ব দেওয়ার আগে টানা দশটির ও বেশি ম্যাচ হেরেছিল পাক ফুটবল দল। যা নিয়ে হতাশ ছিল সকলেই। তবে এবার যেন নতুন করে প্রান ফিরে পেয়েছে এই দল।