গত ফুটবল মরশুমে অনবদ্য লড়াই করে কন্যাশ্রী কাপ (Kanyashree Cup) জয় করেছিল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। যা দেখে আনন্দে মাতোয়ারা ছিল লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু সেখানেই শেষ হয়নি মহিলা দলের ফুটবল মরশুম। পরবর্তীতে আরও বড় লড়াইয়ে নামে রিম্পা-রত্নারা। রাজ্যের সীমা অতিক্রম করে গোটা দেশের সামনে নিজেদের মেলে ধরার সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে সুলঞ্চনাদের।
আসলে, জাতীয় লিগে খেলার সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। সেখানে শক্তিশালী গোকুলাম কেরালার পাশাপাশি মুম্বাই নাইটস সহ বিনাপানী এফসির মতো দলগুলির বিপক্ষে খেলতে হয় তাদের। তবে সেই ফুটবল টুর্নামেন্টে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও যথেষ্ট লড়াই করতে দেখা যায় বাংলার এই একমাত্র দলকে।
পরবর্তীতে কোচ সুজাতা করের তত্ত্বাবধানে শিল্ড জয় করে লাল-হলুদের মহিলা দল। যা দেখে খুশি ছিল সকলেই। উল্লেখ্য, ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো না হলেও জুনিয়র দলের পাশাপাশি মহিলা দলের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে এই প্রধান। তবে এবারের নয়া আইএসএল মরশুমে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে ক্লেটনরা। তবে এসবের মাঝেই এবার প্রকাশিত হল কন্যাশ্রী কাপের নয়া মরশুমের গ্রুপ বিন্যাস। যেখানে একসাথে দেখা গিয়েছে দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। হ্যাঁ, ঠিক শুনছেন। এবার গ্রুপ “এ” তে স্থান পেয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল।
সেইসাথে এই গ্রুপে রয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এছাড়াও স্থান পেয়েছে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ, কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স, বালি ক্রীড়া সমিতি, মতুয়া সরোজিনী নাইডু স্পোর্টস ক্লাব, ইনভেনশেন ফুটবল কোচিং সেন্টার ও ওয়েস্টবেঙ্গল পুলিশ। অন্যদিকে, গ্রুপ “বি” তে রয়েছে যথাক্রমে, সার্দান সমিতি, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, সেবায়নী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, চাঁদনি স্পোর্টস ক্লাব, জোনাকি ইউনাইটেড ও জ্যোতিময়ী অ্যাথলেটিক ক্লাব।