ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নতুন মরশুমের শুরুতে জামশেদপুর এফসির বিপক্ষে ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ দলের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কলকাতার এই প্রধান। তবে তৃতীয় ম্যাচটা খুব একটা সুখকর ছিলনা লাল-হলুদের পক্ষে। বেঙ্গালুরু এফসির ঘরের মাঠে এক গোলে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হয় সুনীল ছেত্রীদের বিপক্ষে।
যা নিয়ে খুব একটা খুশি নয় সমর্থকরা। আসলে মহেশের গোলে দল এগিয়ে গেলেও কিছু সময় পরেই রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করে পেনাল্টি আদায় করেন বেঙ্গালুরু এফসির অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। সেখান থেকেই সমতায় ফেরে বেঙ্গালুরু। পরবর্তীতে জাভি হার্নান্দেজের গোল। সেই ব্যবধান ধরে রেখেই পরবর্তীতে জয় নিশ্চিত করে সাইমন ব্রিগেড।
তবে, লাল-হলুদের এই পরাজয় যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দলের সমর্থকরা। আসলে জাভি হার্নান্দেজের বিশ্ব মানের গোল হলেও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। বিশেষ করে সুনীল ছেত্রীর পেনাল্টি থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরু দলের ফুটবলারদের হ্যান্ডবলের মতো ঘটনা। তবুও দলের ফুটবলারদের ভুল ভ্রান্তি ঠিক করতে বদ্ধপরিকর লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।
সেইজন্য, আইএসএলের সাময়িক বিরতিকে কাজে লাগানোর কথা শোনা গিয়েছিল তার তরফ থেকে। এক্ষেত্রে আইলিগের একাধিক শক্তিশালী দলগুলির সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা শোনা গিয়েছিল তাদের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে সবার আগে উঠে এসেছিল শক্তিশালী গোকুলাম কেরালা দল।
বল পায়ে তাদের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। তবে শুধু গোকুলাম কেরালা নয়, এবার নেরোকা এফসির সঙ্গে ও খেলার কথা জানা গিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১৬ তারিখ অর্থাৎ সোমবার বিকেলে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচে যোগ দেবে নেরোকা ফুটবল দল। এক্ষেত্রে আগত আইলিগের আগে যেমন প্রস্তুতি হয়ে যাবে নেরোকা দলের, ঠিক তেমন ভাবেই আইএসএলের পরবর্তী ম্যাচের আগে দলের ফুটবলারদের পরিস্থিতি বুঝে নিতে পারবেন কুয়াদ্রাত।