ফুটবল মাঠ নাকি রেসলিং রিং বোঝার উপায় ছিল না। ম্যাচের শেষ লগ্নে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মুম্বই ফুটবল এরিয়ানায়। ম্যাচ চলল প্রায় ১১০ মিনিট। খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে দুবার লাল কার্ড দেখাতে হল রেফারিকে। কেঁদেই ফেললেন প্রবীর দাস। ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
যতটা ভাবা হয়েছিল তার তুলনায় এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লীগে অনেক ভালোভাবে শুরু করেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলেন কেরালা সমর্থকরা। ছোটখাটো ভুল না করলে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত ব্লাস্টার্স। শেষ পর্যন্ত মুম্বই সিটির পক্ষে ম্যাচের ফল হয় ২-১। বিরতির আগে অতিরিক্ত সময়ে মুম্বইকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডিয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধে কেরালাকে সমতায় ফেরান ফারুক। মিনিট দশেকের মধ্যে রালতের গোলে ফের এগিয়ে যায় মুম্বই সিটি।
এদিনের খেলার থেকে বেশি আলোচনায় থাকল দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনাকর কিছু মুহূর্ত। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়েও থাকছে প্রশ্ন। জোড়া লাল কার্ড দেখালেও দর্শকদের সমালোচনা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না রেফারি।
৯০ অতিরিক্ত ১৫ মিনিটের মাথায় মুম্বই সিটি এফসির ভ্যান নেইফ এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের ড্রিন্সিসকে লাল কার্ড দেখানো হয়। তবে ফুটবল প্রেমীদের একাংশের অভিযোগ, আসল কালপ্রিট মুম্বই এফসির গ্রিফিথস। প্রবীর দাসের ওপর তিনি কার্যত চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। রেফারি কেন সিটির এই ফুটবলারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলেন না? সে ব্যাপারে উঠছে প্রশ্ন।