Papua New Guinea: ভয়াবহ শাস্তি, জ্যান্ত চোর চিবিয়ে খায় কোরোবায়িরা

চুরি কিংবা অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হলেও পৃথিবীতে এমন এক আদিম জনগোষ্ঠী আছে যারা শাস্তি হিসেবে অপরাধীকেই খেয়ে ফেলেন।…

Korowai tribe in Papua New Guinea

চুরি কিংবা অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হলেও পৃথিবীতে এমন এক আদিম জনগোষ্ঠী আছে যারা শাস্তি হিসেবে অপরাধীকেই খেয়ে ফেলেন। পাপুয়া নিউগিনির (Papua New Guinea) একটি গভীর জঙ্গলে বসবাসরত কোরোবায়ী (Korowai) মানুষেরা এমন করে থাকে।

সম্প্রতি মার্কিন অভিযাত্রী ও ব্লগার ডিউ ব্রিন্সকি সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন পাপুয়া নিউগিনির জঙ্গলে গিয়েছিলেন। এক প্রতিবেদন অনুসারে, কোরোবায়ীদের সঙ্গে ডিউ একাই কিছুদিন কাটিয়ে এসেছেন। তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে পুরো ঘটনা শেয়ার করেন। তার অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে,‌ এক টুকরো কাপড় বা গাছের বাকল দিয়ে করোবায়ি মানুষেরা তাদের লজ্জা নিবারণ করেন। কেউ কেউ আবার পোশাক না পরেই থাকেন। তারা শিকারের জন্য ব্যবহার করে তীর ধনুক।

   

জানা যায়, ১৯৭৪ সালে একদল নৃতাত্ত্বিক কোরোবায়ীদের প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন। এর আগে এই ট্রাইবের মানুষেরা জানতেনই না পৃথিবীতে তাদের ছাড়াও আরও মানুষের অস্তিত্ব আছে। কিন্তু ডিউ কীভাবে এই ভয়াবহ জনগোষ্ঠীর কাছে গেলেন, কীভাবে কাটিয়ে এলেন তাদের সাথে তা সত্যিই বিস্ময়ের। কোরোবায়ীদের কাছে যাওয়ার রাস্তা করে দিয়েছিল মোমোনা নামের আরেক উপজাতিরা। যারা কোরোবায়ী এলাকায় বসবাস করেন।

মোমোনা উপজাতিদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ছিলেন ডিউ। তাদের কাছ থেকেই কোরোবায়ীদের কথা জানতে পারে। জেনেছিলেন কোরোবায়ীরা মানুষের শরীরকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। তবে এও জেনেছিলেন তারা ক্ষুধার জন্য বা নিতান্তই খেয়ালের বসে মানুষকে ভক্ষণ করেনা। এটা তারা করে শুধুমাত্র কোনো মানুষকে শাক্তি দেওয়ার জন্য। এটি ব্লগার ডিউকে খুব উৎসাহিত করে।‌ তাই তিনি পাপুয়া নিউগিনির কোরোবায়ীদের বাসস্থানে যান‌। কোনো মানুষ যদি কোনো দোষ করে তারা তখন তাকে আগুনে ছুঁড়ে দেন‌ বা খেয়ে ফেলেন।

লোকেরা বিশ্বাস করে খাকোয়া নামে একটি দুষ্ট রাক্ষস মানুষকে ধারণ করতে পারে এবং ওই রাক্ষস মানুষটিকে ভিতর থেকে খেতে শুরু করে। এই‌ভাবে ওই‌ মানুষটি ডাইনিতে পরিণত হয়। এইভাবে খাকোয়ায় পরিণত হওয়া একটি মানুষ আরেকটি মানুষের ভিতর ও ঘর‌ করে‌ থাকে। আস্থা অর্জনের জন্য নিজের বন্ধু বা সদস্য হিসেবেও ছদ্মবেশেও ধারণ করতে পারে। তাই খাকোয়া চুরি কিংবা অন্য অপরাধ করলে মাঝে খাকোয়া ভর করেছে বলে‌ বিশ্বাস করে কোরোবায়ীরা। তাই তাকে অনুষ্ঠান করে সবাই মিলে‌ খেয়ে ফেলে, যাতে আর কোনো ক্ষতি করতে না পারে।

ভয়ানক কোরোবায়ীদের সাথে থেকে ডিউ জানিয়েছেন, মানুষের মাংসের স্বাদ অনেকটা বন শূকরের মতো। তারা একটি মানুষের চুল, নখ, গোপনাঙ্গ ছাড়া বাকি সবকিছুই খেয়ে ফেলেন। তবে ১৩ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের এই মাংস খাওয়ার অনুমতি নেই। কোরোবায়ীরা বিশ্বাস করে একটি খাকোয়াকে কম বয়সীরা খেলে তাদের শরীরেও খারাপ কিছু ভর করতে পারে।