Bangladesh pet hotel: পোষ্যদের আবাসিক হোটেল, মিলবে ভিন্ন ধরনের ঘর

Bangladesh pet hotel: অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। অথচ ঘরে রয়েছে পোষ্য। সব জায়গায় তাকে নিয়েও যাওয়া যাবেনা। তাই এবার আর নিজের ছুটি ক্যান্সেল না…

Bangladesh pet hotel

Bangladesh pet hotel: অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। অথচ ঘরে রয়েছে পোষ্য। সব জায়গায় তাকে নিয়েও যাওয়া যাবেনা। তাই এবার আর নিজের ছুটি ক্যান্সেল না করে পোষ্যদের রাখুন এই আবাসিক হোটেলে। চারিদিকে কুকুর, বিড়াল। মালিকরা গিয়েছেন দেশের কোনও এক প্রান্তে ঘুরতে। আবার কেউ গিয়েছেন দেশের বাইরে। তাই মাসের পর মাস বাংলাদেশের এই আবাসিক পোষ্য হোটেলে রয়েছে বহু প্রাণীরা।

তারা অনেকদিন ধরে একসঙ্গে থাকতে থাকতে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে রয়েছে একত্রে। এই হোটেলে তাদের জন্য রয়েছে খুব সুন্দর থাকার ব্যবস্থা। সঙ্গে খাবার, মূত্র, মল ত্যাগ করার সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা। ফারিঘর সহপ্রতিষ্ঠাতা স্থপতি রাকিবুল হক এলিম জানিয়েছেন, ” এটি যেহেতু একটি আবাসিক হোটেল তাই তিনদিন, চারদিন কখনও তিন থেকে চার মাসও পোষ্য প্রাণীদের এখানে তাদের মালিকরা রেখে যান। আমরা ২৪ ঘন্টা তাদের দেখাশোনা করি। কেয়ারটেকার রয়েছে তারা এদের দেখাশোনা করে। ম্যানেজার রয়েছে তিনি সব বিষয়ে খেয়াল রাখেন”।

   

Bangladesh pet hotel

এখানে পোষ্যদের মালিকরা তাদের যে রুটিন দিয়ে যায় সেই অনুযায়ী খাবার দেওয়া হয়। কুকুরদের যেহেতু ঘরে বেঁধে রাখা যায় না তাই তাদের কখনো কখনো ছাদে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার স্নান করিয়ে পরিষ্কার রাখা হয়। অন্যদিকে বিড়াল যেহেতু একটু ভীতু তাই তারা নিজেদের জায়গায় বসে থাকতে পছন্দ করে।

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানার সড়কে আসলেই দেখা মিলবে পোষ্যদের এই আবাসিক হোটেলের। প্রাণী প্রেমীরা কোথাও ঘুরতে গেলে তাদের প্রাণীদের এখানে রেখে যেতে পারবেন। তবে তার বাবদে গুনতে হবে অর্থ। এখানে কুকুর ও বিড়ালের ক্ষেত্রে ভিন্ন টাকা নেওয়া হয়।

কোনও বিড়ালকে যদি এখানে সাত দিনের কম রাখা হয় তাহলে প্রতিদিন তাদের ৭০০ টাকা করে দিতে হয়। আবার যদি সাত দিনের বেশি রাখা হয় তাহলে ৫৭০ টাকা করে দিতে হয়। ১৫ দিন কিংবা তার বেশি রাখা হলে প্রতিদিন ৫০০ টাকা। আবার যদি ৩০ দিনের বেশি রাখা হয় তাহলে প্রতিদিন ৪০০ টাকা।

অন্যদিকে কুকুরের ক্ষেত্রে যদি সাত দিন রাখা হয় তাহলে ১৫০০ টাকা প্রতিদিন। আবার ৭ দিনের বেশি হলে ১৩০০ টাকা প্রতিদিন দিতে হয়। আবার ১৫ দিনের বেশি হলে প্রতিদিন ১১০০ টাকা দিতে হয়। অন্যদিকে ত্রিশ দিনের বেশি হলে প্রত্যেক দিন হিসেবে ৯০০ টাকা দিতে হয়।

আবার অনেক সময় কুকুর বিড়াল অসুস্থ হলে এখান থেকেই তাদের চিকিৎসা করা হয়। বা বেশি প্রয়োজন হলে প্রাণীদের হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের খেয়াল রাখার জন্য ২৪ ঘন্টা বহু কর্মীরা এখানে কাজ করে।