পশ্চিম মেদিনীপুরের (paschim medinipur) দাসপুরে দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল খোদ শাসকের বিরুদ্ধে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার ঘরেও ফিরলেন। কিন্তু মুখ খুললেন না। মুখ খুললেন তবে পঞ্চায়েত প্রধান পদে ইস্তফা দেওয়ার জন্য। অভিযোগ দলের লোকের বিপক্ষে গিয়ে তাকে প্রধান নির্বাচন করেন জয়ী সদস্যরা। তৃণমূল সদস্যদের বাধায় পঞ্চায়েতেও তিনি ঢুকতে পারেননি।
পঞ্চায়েত ভোট শেষ, বোর্ড গঠনও শেষ। কিন্তু নাটকের শেষ নেই। এবার দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে অপহরণের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘরে ফেরেন সরবেড়িয়া দুই পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়া। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা কালিপদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “এই অত্যাচার শুধু অভিযোগ আকারেই ছিল না বরং সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস একই কাজ করছে। এটাই আজ প্রমাণিত হলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক গোষ্ঠী তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য এক গোষ্ঠীকে অপহরণ করছে”।
অপহরণের কথা উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল আঙুল তুলেছে দলের প্রধানের দিকে। তৃণমূল জেলা সভাপতি আশীষ হুদায়েত জানিয়েছেন, ” এই মুহূর্তে কেউ যদি রাজনীতি করার জন্য এমন কথা বলে থাকেন, তাহলে তারা প্রমাণ করুন যে কেউ তাকে অপহরণ করেছিল। যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই দল তার ব্যবস্থা নেবেন”।