Jangalmahal: রেল অবরোধ বেআইনি বলল হাইকোর্ট, পিছু হটল কুড়মিরা

আদালতের কড়া পদক্ষেপে অগনিত ট্রেন যাত্রীর দুর্ভোগ কাটল। বুধবার জঙ্গলমহলে (Jangalmahal) যে রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ তা বেআইনি বলে চিহ্নিত করে কলকাতা…

আদালতের কড়া পদক্ষেপে অগনিত ট্রেন যাত্রীর দুর্ভোগ কাটল। বুধবার জঙ্গলমহলে (Jangalmahal) যে রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ তা বেআইনি বলে চিহ্নিত করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের পর নরম কুড়মি সমাজ নেতারা তড়িঘড়ি রেল রোকো প্রত্যাহার করলেন। 

কুড়মি সমাজের রেল রোকো ও সড়ক অবরোধের দুর্ভোগ এর আগে পেয়েছিলেন দক্ষিণ বঙ্গের জেলাবাসী। বিশেষত পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশি রাজ্যগুলি থেকে ট্রেন ও যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গেছিল। এর জেরে রাজ্য প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। এবারও তেমনই আশঙ্কা তৈরি হয়। কুড়মি সমাজ রেল রোকো ডাক দেওয়ার পর রেলের দক্ষিণ পূর্ব শাখার একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়। আন্দোলনের হুঁশিয়ারির পর বিভিন্ন স্টেশনে শুরু হয় বিশেষ টহলদারি।

স্বতন্ত্র জাতির দাবি তুলে কুড়মি নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো বলেছিলেন, “আমাদের একটাই কথা ২০ সেপ্টেম্বর আমরা রেল অবরোধ সফল করবই। সকলকে বলা হয়েছে, পুলিশ যতই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক চার জেলাতেই রেল অবরোধ হবে। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতেও হবে। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ, আমরা একটা স্বতন্ত্র জাতি নিজের সত্তার জন্য লড়াই করছি। আমাদের রেল আটকাতে হবে কেন? এটা তো উচিত নয়। সরকার এটার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। তিনমাস আগেই আমরা কেন্দ্র-রাজ্যকে এক যোগে জানিয়েছি। কেউ এগিয়ে এলো না। একটা বৈঠক পর্যন্ত করল না কেউ।”

এর আগেও কুড়মিরা আন্দোলনের সময় সর্বদাই রেল অবরোধকে হাতিয়ার করেছে। কুড়মিদের আন্দোলনকে বেআইনির ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আন্দোলনের নামের রেল, রাস্তা অবরোধ করা যাবে না। পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে পারে রাজ্য। এমনই নির্দেশ আদালতের। এই নির্দেশ কুড়মি সমাজের নেতাদের কাছে পৌঁছতেই আন্দোলন আপাতত স্থগিত করা হয়।