ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ১৩২তম ডুরান্ড কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে কনসাম ফাল্গুনী সিংয়ের দ্বিতীয়ার্ধের গোলটি হয়ে রইল ম্যাচের নির্ণায়ক। চলতি Durand Cup-এর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল আইএসএল দল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি (North East United FC)।
জরুরি ম্যাচের কথা মাথায় রেখে দুই দলই তাদের প্রথম একাদশে বদল এনেছিল। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড দ্রুত মাঝ মাঠের দখল নিতে শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ফুটবল দল নির্ভর করে ছিল কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবলে। লিটন শিল এনইইউএফসি গোলকিপার মিরশাদকে দূরপাল্লার প্রচেষ্টায় পরীক্ষা করেছিলেন। ইবসন মেলো ফরাসি মিডফিল্ডার রোমেন ফিলিপপোটেক্সকে বক্সের ভিতরে আক্রমণ গড়ার সুযোগ করে করেছিলেন। তবে তার কার্লার ক্রসবার থেকে ফিরে এসেছিল। এনইইউএফসিকে লিড দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন রোচারজেলা, কিন্তু বাধা প্রাপ্ত হয়েছিল তার প্রচেষ্টা।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা মাঠে চাপ দিতে শুরু করে এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে দল। লিটন শীল বক্সের ভেতর ডিফেন্ডার হিসেবে দারুণ কিছু স্কিল প্রদর্শন করলেও তার শটটি রক্ষা করেন মিরশাদ। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে সমীর মুর্মু সেনা দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিরতি পর্যন্ত দুই দলই গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে মনভীর সিং ও নেস্টর রজারকে মাঠে নামিয়ে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচের প্রথম গোলটি তুলে নেয়। নেস্তরের দুর্দান্ত ক্রস থেকে বল চলে এসেছিল ফাল্গুনী সিংয়ের কাছে। তিনি গোলরক্ষক এবং দুই দ্রুত গতির ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে এনইইউএফসিকে লিড এনে দেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে আক্রমণে তীব্রতা বাড়িয়েছিল ।
তবে অ্যাটাকিং থার্ড অঞ্চলে বারবার থমকে গিয়েছে তারা। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড় জিথিন এমএস ও মনভীর সিং বেশ কিছু ভালো দৌড় দিয়ে সেনাবাহিনীর ডিফেন্সকে ব্যস্ত করে তুলেছিলেন। আর্মি শেষ মিনিটে সমতা ফেরাতে কঠোর পরিশ্রম করেছিল। পরিকল্পনায় কিছু বদল এনেছিলেন সেনা দলের কোচ। ডি নিউফাক ডিফেন্সের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন তবে হাইল্যান্ডার তাদের এক গোলের লিড ধরে রাখতে সক্ষম হয়।