পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ফের কোচবিহার (Coochbehar) গরম। দিনহাটার বাইশগুড়ি এলাকায় রাতভর চলেছে বোমাবাজি। সকাল থেকে থমথমে গোটা এলাকা। গোটা ঘটনায় শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।তবে অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, দিনহাটার বাইশগুরি এলাকায় রাতভোর চলেছ বোমাবাজি। তাদের অভিযোগ বাইক বাহিনী এসে গোটা এলাকায় তান্ডব চালায় বেশ কিছু বাড়িতে হামলা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এর সঙ্গেই একের পর এক বোমাবাজি চলে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের দাবি তৃণমূল এইভাবে ভয় দেখিয়েই সাধারণ মানুষ যেন ভোট দিতে না যায় তার ব্যবস্থা করতে চাইছে। গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
থমথমে এলাকায় বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের মুখে একটাই প্রশ্ন এবারের পঞ্চায়েত ভোট কি আদৌ তারা দিতে পারবেন? পঞ্চায়েত ভোটে রক্তাক্ত উত্তরবঙ্গের কোচবিহার। পরপর খুনের ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহারে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চরমে।
এই জেলায় শাসক তৃ়নমূল বনাম বিরোধী বিজেপির সংঘর্ষে রক্তাক্ত পরিস্থিতি। দুই শিবিরের দুই মন্ত্রীর পরস্পরের প্রতি হুঁশিয়ারি চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের এলাকা ভেটাগুড়িতে দাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর হুঁশিয়ারি, পায়ে দড়ি বেঁধে ছ্যাচরাতে ছ্যাঁচরাতে নিয়ে যাবে।’ এর পরেই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু কোচবিহারে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ ঘনিষ্ঠ ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান রতন বর্মনকে হুশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, ‘ভালো ভাবে ভোট হোক, শান্তিতে ভোট হোক। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারা জিতুক। কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু গায়ের জোরে যদি ভোটে জেতেন তাহলে দিনহাটা বিডিও অফিসে গিয়ে আপনি শপথ নিতে পারবেন না গত পাঁচ বছরে। আপনার গুরুদেব কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও আপনাকে শপথ নেওয়াতে পারবে না। আগেরবার গোরুর মতো পিটিয়ে ছিল। আমি বাঁচিয়ে দিয়েছিলাম। এবারে পায়ে দড়ি বেঁধে ছ্যাচরাতে ছ্যাচরাতে নিয়ে যাবে।’