গাজা-যুদ্ধবিরতির ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললেন জেলেনেস্কি

নয়াদিল্লি: বিশ্বের সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) বন্ধ করতে পারলে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিৎ বলে দাবী করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শুক্রবার প্রথম পর্যায়ের গাজা-যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললেন ইউক্রেন-রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনেস্কি (Volodymyr Zelenskyy)।

Advertisements

শনিবার তিনি জানান, “দীর্ঘ দু-বছর ধরে গাজায় চলা চলা ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) সাধুবাদ জানিয়েছি”। এরপরেই এক্সে তিনি লেখেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার খুবই ইতিবাচক এবং ফলপ্রসূ ফোনালাপ হয়েছে। আমি @POTUS মধ্যপ্রাচ্য চুক্তিতে তাঁর সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি।”

   

এরপরেই জেলেনেস্কি বলেন, “যদি একটি অঞ্চলে (গাজায়) যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, তাহলে অবশ্যই অন্যান্য যুদ্ধ এমনকি রাশিয়ার যুদ্ধও বন্ধ করা যেতে পারে।”

“যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে রাশিয়ার আলোচনায় বসা উচিৎ!”

Advertisements

২০২২ সাল থেকে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) বন্ধ নিয়ে রাশিয়ার আলোচনার টেবিলে বসা উচিৎ বলে ফের উল্লেখ করেন জেলেনেস্কি। তিনি বলেন, “প্রকৃত কূটনীতিতে প্রবেশের জন্য রাশিয়ার প্রস্তুত হওয়া উচিৎ। শক্তির মাধ্যমে তা অর্জন করা যেতে পারে। ধন্যবাদ, মিঃ প্রেসিডেন্ট!”

প্রসঙ্গত, গাজায় দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ-বিরতি কার্যকর হয়েছে শুক্রবার। ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে দুই দেশের যুদ্ধ বন্দীদের মুক্ত করা হবে। সম্প্রতি হামাস এই চুক্তিতে সম্মতি জানানোর পর ইজরায়েলের উপর কার্যত চাপ সৃষ্টি করে গাজা যুদ্ধ বিরতি কার্যকরী করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।

উল্লেখ্য, ৩ বছর ব্যাপী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি চুক্তির মধ্যস্থতার জন্য ভ্লাদিমির পুতিন এবং জেলেনস্কির সাথে কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। বছরের শুরুতে হোয়াইট হাউসে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি কুখ্যাত বৈঠকে ট্রাম্প এবং জেলেনেস্কির (Volodymyr Zelenskyy) ঝগড়ার পর ফেব্রুয়ারী থেকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে উষ্ণ হয়েছে। ট্রাম্প তখন থেকেই জেলেনস্কিকে “ভালো মানুষ” বলে অভিহিত করেছেন এবং ২০২২ সাল থেকে ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে লড়াই করা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বজায় রেখেছেন।