ওয়াশিংটন ডিসিতে হঠাৎই তীব্র উত্তেজনা ছড়াল, যখন হোয়াইট হাউসের (White House) কাছে দায়িত্বে থাকা দুই ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যকে গুলি করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক, এবং ঘটনাস্থলেই দ্রুত জরুরি চিকিৎসা শুরু করার পর তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউস সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ণ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে এবং আশেপাশের সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস।
ঘটনার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা গুলিতে হামলাকারী ব্যক্তি আহত হন এবং তাকে গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। গুলিবর্ষণের উদ্দেশ্য, পরিচয় ও তিনি একা ছিলেন নাকি কোনও সংগঠিত হামলার অংশ—তা এখনো স্পষ্ট নয়। সিক্রেট সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এলাকা ঘিরে ফেলে দ্রুত তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
ওয়াশিংটনের রাস্তাগুলোতে মুহূর্তের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। হোয়াইট হাউসের চারপাশে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে ওই এলাকায় না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনার জেরে ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সব উড়ান বাতিল বা অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আকাশপথেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, একাধিক টহল হেলিকপ্টার হোয়াইট হাউসের উপরে চক্কর দিচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের ভেতরে কর্মীরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে সিক্রেট সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে। ঘটনাটি যে বড় ধরনের নিরাপত্তা লঙ্ঘন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং ফেডারেল এজেন্সিগুলিও ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে।
হামলার মোটিভ এখনো রহস্য, তবে তা ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এটি একক-আক্রমণ নাকি কোনও সংগঠিত ষড়যন্ত্র—তা নির্ধারণ করাই তদন্তকারীদের প্রধান লক্ষ্য।
এই মুহূর্তে গোটা ওয়াশিংটনজুড়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও অনুমান না করতে অনুরোধ করেছে।
