৫২ বছর পর আবার চাঁদের মাটিতে পা রাখার চেষ্টা করছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই মিশন (Lunar Mission) খেল বড় ধাক্কা। পেরেগ্রিন মিশন-১-এ ব্যবহৃত ল্যান্ডারে প্রযুক্তিগত ত্রুটির খবর পাওয়া গেছে। ল্যান্ডারের সাহায্যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডন এফ কেনেডির ডিএনএ চাঁদের পৃষ্ঠে পাঠানো হচ্ছিল।
জানা গিয়েছে, ভলকান নামের মহাকাশযানে করেই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় পেরেগ্রিন ল্যান্ডার। স্থানীয় সময় রাত ২টো ১৮ মিনিটে বেসরকারি সংস্থা অ্যাস্ট্রোবোটিক টেকনোলজিস এই সফল উৎক্ষেপণ করেছিল। উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পর জানানো হয়েছিল, মহাকাশে এই যান স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। তা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছে। তবে এর কিছু পরেই যান্ত্রিক কিছু গোলযোগ দেখা দেয় এই মহাকাশযানে। জানা গিয়েছে, পেরেগ্রিনের সোলার প্যানেলে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও মহাকাশযানে যে সমস্যা রয়ে গিয়েছে তা মেনে নেওয়া হয়েছে। এই আবহে মিশনের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ কার্যত আভাস দিয়েই দিয়েছে যে এই মহাকাশযান লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না। এরই মাঝে সংস্থার তরফ থেকে মহাকাশযানের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, মহাকাশযানের বাইরের আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রকেটটি তৈরি করেছে ইউনাইটেড ল্যান্স অ্যালায়েন্স। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির পাশাপাশি অনেক স্টার ট্রেক শিল্পীদের দেহাবশেষ এই ল্যান্ডারে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কেনেডির ডিএনএও চাঁদের পৃষ্ঠে পাঠানো হয়েছে।
১৯৭২ সালের পর আবার চাঁদে অবতরণের মিশন নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আর্টেমিস মিশনের আওতায় চাঁদের পৃষ্ঠে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।