মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির জেরে বিশাল সেনা ও নৌবহর মোতায়েন করছে আমেরিকা (USA)! লোহিত সাগর, এডেন উপসাগরে ক্ষেপনাস্ত্রবহনকারী যুদ্ধজাহাজের আনাগোনা বাড়ালো ওয়াশিংটন। যারমধ্যে ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট ও ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন অন্যতম। মূলত ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউজ। কারণ পরিস্থিতি যে যুদ্ধের আকার নিচ্ছে তা ভালোভাবে বুঝতে পারছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। তাই আগাম যুদ্ধের সমস্ত পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকতে চাইছে আমেরিকা।
উত্তরপ্রদেশে বড় সংকট! দশে দশ না পেলে ‘ডাহা ফেল’ যোগী
সম্প্রতি হামাস প্রধান হানিয়েকে হত্যা করেছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ। ইরানের মাটিতেই সেই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস। এবার সেই হত্যার বদলা নিতে ইজরায়েলের উপর হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের ‘সর্বশক্তিমান’ সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। ফলে যেকোনও সময় ইহুদি দেশটির উপর ভয়ংকর হামলা চালাতে পারে তেহরান। কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, অত্যাধুনিক মিসাইল ছুঁড়ে ইজরায়েলের বুকে আঘাত হানতে পারে ইসলামিক দেশটি। তাই বন্ধুরাষ্ট্র ইজরায়েলের জন্য যুদ্ধজাহাজ ও ফাইটার জেট পাঠাচ্ছে আমেরিকা। ফলে এবার গাজায় হামাস, লেবাননে হেজবোল্লা ও ইরানের সঙ্গেও লড়াই করতে হবে ইজরায়েলি সেনাকে।
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাস নেতা হানিয়ার মৃত্যু পরিস্থিতিকে আরও জটিল করবে বলেই মনে করেন তিনি। জানা গিয়েছে, বুধবার তেহরানে ইরানের সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে শিয়া জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহের নেতারা। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে দুপক্ষের।
গত অক্টোবরে জেরুজালেমে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল ইরানমদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় কয়েকশো ইজরায়েলি নারী শিশুকে অপহরণ করে তাঁরা। আর তারপরই পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। প্রতিশোধ নিতে হামাস অধ্যুষিত গাজা ভূখন্ডে ‘অল-আউট অ্যাকশনে’র নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তারপরই সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে গাজার ভূখন্ডে ঢুকে পড়ে ইজরায়েলি বাহিনী।
UGC NET: পুনরায় নেট পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ ঘোষণা করল এন্টিএ, কবে থাকছে কোন বিষয়? জেনে নিন
সেই ভয়ঙ্কর হামলায় রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গাজা। বিগত কয়েক মাসে প্রাণ হারায় হাজারো প্যালেস্টাইন। যা নিয়ে আন্তর্জাতিকস্তরেও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সরব হয় একাধিক দেশ। তবুও তাতে কুছ পরোয়া নেহি, গাজা-প্যালেস্টাইনের পর সম্প্রতি লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। আইডিএফের গোলায় ধ্বংস হয়েছে রাজধানী বেহরুটের একাধিক ঘরবাড়ি। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।