F-15ex Eagle ii Fighter Jet: চিন তাইওয়ান দখলের চেষ্টা করছে, অন্যদিকে আমেরিকা তাইওয়ানকে বাঁচানোর জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সর্বশেষ উন্নয়নে, আমেরিকা জাপানের ওকিনাওয়ার কাদেনা বিমানঘাঁটিতে F-15EX Eagle II মোতায়েন করেছে। এই যুদ্ধবিমানটি F-15C/D এর একটি উন্নত সংস্করণ। এই জেটটি ১০৪টি শত্রু বিমান ধ্বংস করেছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও শত্রুর কবলে পড়েনি। উল্লেখ্য, কাদেনা বিমান ঘাঁটি দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের কার্যকলাপের উপর নজর রাখে এবং তাইওয়ানের কাছাকাছি অবস্থিত।
চিনের নজর তাইওয়ানের উপর। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এতটাই বেড়েছে যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিন হয়তো একটি শক্তিশালী দেশ, কিন্তু তাইওয়ানের কাছে আমেরিকার মতো শক্তিশালী বন্ধুর সমর্থনও রয়েছে। তাইওয়ানকে বাঁচাতে আমেরিকা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে, পদক্ষেপও নিতে শুরু করেছে।
কাদেনা বিমানঘাঁটি জাপানের ওকিনাওয়াতে অবস্থিত। আমেরিকা এই বিমানঘাঁটি থেকে চিনের উপর নজর রাখে। এই বিমানঘাঁটি তাইওয়ানের কাছে। পেন্টাগন কাদেনা বিমানঘাঁটিতে F-15EX ঈগল যুদ্ধবিমান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক জেট বিমান এখানে পৌঁছে গেছে। আমেরিকার F-15EX Eagle II একটি শক্তিশালী যুদ্ধবিমান। এটি এয়ার সুপিরিওরিটি F-15C যুদ্ধবিমানের একটি উন্নত সংস্করণ। আমেরিকা 1976 সালে F-15C উৎক্ষেপণ করেছিল, তারপর থেকে এটি কোনও শত্রুর শিকার হয়নি। হ্যাঁ, এটা সত্য যে এটি অনেক শত্রুকে ধ্বংস করেছে।
F-15EX Eagle II কে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই যুদ্ধবিমানটি আমেরিকান কোম্পানি ‘বোয়িং’ তৈরি করেছে। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বহনকারী যুদ্ধবিমান। প্রতিবেদন অনুসারে, এই যুদ্ধবিমানটি ১৩৩৮০ কেজি পর্যন্ত অস্ত্র বহন করতে পারে।
F-15EX Eagle II যুদ্ধবিমানের সুপারসনিক গতি Mach 2.5 এর কাছাকাছি। এর অর্থ হল এই জেটটি ঘন্টায় 3 হাজার কিলোমিটার বেগে 2200 মাইল পর্যন্ত উড়তে পারে। এই জেটটি জ্বালানি ছাড়াই এই দূরত্ব অতিক্রম করে। এটি অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রাডার দিয়ে সজ্জিত।