মার্কিন কোর্টের রায়ে বেআইনি শুল্কনীতি! তবুও একরোখা ট্রাম্প

ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম সিগনেচার নীতি, ‘শুল্ক আরোপ’ -আপাতত ধাক্কা খেল আদালতে। ওয়াশিংটনের ফেডারেল সার্কিট কোর্ট অব আপিলস শুক্রবার জানাল, ট্রাম্পের আরোপিত অধিকাংশ…

US court saysTrump tariffs as illegal

ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম সিগনেচার নীতি, ‘শুল্ক আরোপ’ -আপাতত ধাক্কা খেল আদালতে। ওয়াশিংটনের ফেডারেল সার্কিট কোর্ট অব আপিলস শুক্রবার জানাল, ট্রাম্পের আরোপিত অধিকাংশ শুল্ক আইনসঙ্গত নয়। কিন্তু হোয়াইট হাউসের কর্তা তাতে টলেননি এক ইঞ্চিও। তাঁর স্পষ্ট ঘোষণা, “সব শুল্ক বহাল, এই রায় সঠিক নয় এবং আমেরিকার স্বার্থবিরোধী।”

ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া বার্তায় ট্রাম্প লিখলেন, “এক পক্ষপাতদুষ্ট আদালত বলেছে আমাদের শুল্ক তুলে নিতে হবে। কিন্তু জানিয়ে রাখি, আমেরিকাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে।”

   

ট্রাম্পের অবস্থান

রায়ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক দীর্ঘ সাফাই দেন। তাঁর দাবি, শুল্কই আমেরিকার শ্রমিক, কৃষক ও শিল্পের রক্ষাকবচ। এগুলি না থাকলে দেশ এক ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাঁর সতর্কবার্তা, “শুল্ক উঠে গেলে আমেরিকা দুর্বল হয়ে পড়বে। আমরা আর বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কিংবা বিদেশি অন্যায্য শুল্কনীতি সহ্য করব না৷’’

শ্রমিক দিবসের প্রাক্কালে ট্রাম্প আরও বলেন, “আমাদের শ্রমিক এবং Made in America পণ্যের সবচেয়ে বড় ভরসা হলো এই শুল্ক।” তাঁর সাফ কথা, লড়াই এবার যাবে সর্বোচ্চ আদালতে। “সুপ্রিম কোর্টের সাহায্যে আমরা আমেরিকাকে আবার ধনী, শক্তিশালী ও পরাক্রমশালী করে তুলব।”

আদালতের ব্যাখ্যা US court saysTrump tariffs as illegal

ফেডারেল সার্কিট কোর্ট অব আপিলসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, জরুরি অবস্থার সময়ে প্রেসিডেন্টকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হলেও সরাসরি শুল্ক বসানোর অধিকার নেই। আদালতের রায় প্রধানত লক্ষ্য করেছে ট্রাম্পের চালু করা “পারস্পরিক শুল্ক” (Reciprocal Tariffs) এবং চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর বসানো কিছু অতিরিক্ত করকে। তবে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির শুল্ক বহাল থাকছে।

Advertisements

ভারতের ক্ষেত্রে শুল্ক অটল

আদালতের এই রায়ের প্রভাব ভারতের ওপর পড়ছে না। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়াদিল্লির ওপর ট্রাম্পের চাপ বহুস্তরীয় আইনি কাঠামোয় দাঁড়িয়ে আছে। প্রথম দফায় জরুরি আইন (IEEPA)-এর ভিত্তিতে শুল্ক ঘোষণা করা হলেও, পরবর্তী পর্যায়ে ট্রাম্প বিকল্প আইন প্রয়োগ করেন, যাতে শুল্ক আদালতে আটকে না যায়।

ফলে আদালত যদি IEEPA-ভিত্তিক শুল্ক বাতিলও করে, ভারতের বিরুদ্ধে আরোপিত পরবর্তী শুল্ক বহাল থাকবে। বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ও বাণিজ্য ঘাটতির প্রশ্নে নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করতে ট্রাম্প এই কৌশল আগেভাগেই বেছে নিয়েছিলেন।

World: Donald Trump’s signature tariffs face a legal setback as a US appeals court rules most of them are illegal. Despite the ruling, Trump vows to keep them, arguing they protect American workers and industry, and plans to appeal to the Supreme Court.