Ukraine War: ইউক্রেনে পৌ়ঁছে রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিব দেখলেন রুশ সেনার হত্যালীলা

দুদিনের মস্কো সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন (Ukraine) এসে পৌঁছন রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার রাতেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও সেদেশের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার…

un-secretary-general-antonio-guterres-on-ukraine-visit

দুদিনের মস্কো সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার ইউক্রেন (Ukraine) এসে পৌঁছন রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার রাতেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও সেদেশের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার সঙ্গে গুতেরেসের বৈঠকে করার কথা।

ইউক্রেন পৌঁছনোর কিছু পরেই গুতেরেস বুচা শহরে রুশ সেনারা তাণ্ডবলীলা দেখতে যান।রাজধানী কিয়েভে-সহ ইউক্রেনের বেশকিছু শহর ঘুরে দেখেন গুতেরেস। পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এই যুদ্ধের বলি হচ্ছে সাধারণ নিরীহ মানুষ। অথচ যুদ্ধের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্কই নেই। শহরের আবাসনগুলিতে থাকতেন কিছু নিরীহ মানুষ। সেই আবাসনেই হামলা হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে যুদ্ধ কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।

দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে রাশিয়া। কিন্তু এখনও তারা এই দেশ দখল করে উঠতে পারেনি। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অনেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে যারা সাহায্য করবে বা ইউক্রেনে রাশিয়ার এই বিশেষ এই সামরিক অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে তাদের আমরা কড়া জবাব দেব। যদি কোনও দেশ ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নাক গলাতে আসে সেটা আমরা আদৌ ভালভাবে নেব না। আমাদের চলার পথে কোনও রকম বাধা সৃষ্টি করা হলে আমরা সেই বাধা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে যাব। প্রয়োজনে আমরা অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দুবার ভাবব না।

নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার প্রসঙ্গে পুতিন বলেছেন, সকলেরই জেনে রাখুক আমাদের হাতে যেসব অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে তা অন্য কোনও দেশের কাছে নেই। প্রয়োজন পড়লে আমরা সেই অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করব।

রাশিয়ার হুমকির মধ্যেই এদিন কিয়েভের আঞ্চলিক পুলিশপ্রধান অ্যান্ড্রিউ নেবিটোন জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁরা শহর থেকে ১১৫০ জন সাধারণ মানুষের দেহ উদ্ধার করেছেন। এইসব নিরীহ মানুষকে রাশিয়া খুন করেছে। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল জানিয়েছেন, বুচা শহরে গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ১০ জন রুশ সেনার নাম তিনি প্রকাশ করতে পারেন।

রাশিয়ার এই সমৃদ্ধ অস্ত্রভান্ডারের কথা মাথায় রেখেই সরাসরি ইউক্রেনকে সেনা দিয়ে কোনও দেশই সাহায্য করেনি। এমনকী, আমেরিকাও নয়। তবে আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করেছে। আমেরিকা ছাড়াও ব্রিটেন, জার্মানি, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রের মতো বেশ কিছু দেশ ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে।

পুতিন এদিন সরাসরি এই সমস্ত দেশকেই হুমকি দিয়েছেন বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এরই মধ্যে রাশিয়ার দেওয়া শর্ত মেনেই রুবলের মাধ্যমে মস্কো থেকে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রুস। তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধ ১০ বছর চলতে পারে। এর জন্য ইউরোপকে তৈরি থাকতে হবে। পশ্চিমী দেশগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে ট্রুস বলেন, এই যুদ্ধে রাশিয়া জয়ী হলে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়বে। গোটা বিশ্ব। এই সঙ্কট থেকে বাঁচতে হলে সকলকেই ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।