Ukraine war: ইউক্রেনের দাবি ৩৫০০ রুশ সেনা খতম, পরপর মিসাইল চার্জ রাশিয়ার

রুশ সেনার ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে ইউক্রেন আগ্রাসনে। তথ্য দিয়ে জানাল দেশটির সরকার। কিয়েভ ঘিরে যুদ্ধের মাঝে এমন তথ্যে বিশ্ব জুড়ে চমক। (Ukraine War) ইউক্রেন সরকারের…

রুশ সেনার ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে ইউক্রেন আগ্রাসনে। তথ্য দিয়ে জানাল দেশটির সরকার। কিয়েভ ঘিরে যুদ্ধের মাঝে এমন তথ্যে বিশ্ব জুড়ে চমক। (Ukraine War)

ইউক্রেন সরকারের দাবি, হামলাকারী রুশ সেনার অন্তত ৩৫০০ জনকে গুলি করে মারা হয়েছে। এছাড়া ১৪টি রুশ যুদ্ধ বিমান, ৮টি হেলিকপ্টার, ১০২টি ট্যাংক, ৫৩৬টি সামরিক গাড়ি ধংস করা হয়েছে।

বিবিসির খবর, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ শহর দখলে অবিরাম মিসাইল চার্জ করছে রুশ সেনা। শহরটির বেশিরভাগ এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ। রুশ ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভ শহর বিচ্ছিন্ন। বহু সাধারণ ইউক্রেনীয় সরাসরি যুদ্ধে নেমেছেন।

কিয়েভে থাকা বহু মানুষ ও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বেশিরভাগ মেট্রো স্টেশনগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে বাংকারে ঢুকেছেন।

ইউক্রেনে নিরস্ত্রীকরণ অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া সরকার। দাবি রাশিয়া সরকারের। মস্কো থেকে বিবিসি জানাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আলোচনার বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি। তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বেলারুশের রাজধানী মিনস্ক শহরে। তাৎপর্যপূর্ণ, এই হামলায় রুশ সেনার পাশেই আছে বেলারুশ বাহিনী।

এদিকে কিয়েভ থেকে বিবিসি জানাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি আলোচনার বার্তা দিলেও কোনওভাবেই রুশ সেনার সামনে আত্মসমর্পণের ইচ্ছুক নন বলে জানান। তিনি ইউক্রেনীয় সেনাকে লড়াই চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রয়টার্স জানাচ্ছে, রুশ হামলায় সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্থ ইউক্রেনের বিমান বাহিনী। ইউক্রেনের আকাশ এখন রাশিয়ার দখলে। তবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে জমিতে। ইউক্রেন রাজধানী কিয়েভ দখল করতে সেই শহরে ঢুকেছে রুশ সেনা বহর। কিয়েভের সংঘর্ষ চলছে।

আল জাজিরা জানাচ্ছে, ন্যাটো বাহিনী তাদের স্থল, বিমান, নৌ ও স্পেশাল অপারেশন্স ফোর্সের সদস্যদের ইউক্রেন লাগোয়া বিভিন্ন দেশে মোতায়েন করছে। ন্যাটো জোটের ৩০টি দেশের মধ্যে কয়েকটি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার ঘোষণা করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন রাশিয়ার আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের মোকাবিলায় পূর্ব ইউরোপের ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে। কিন্তু তারা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করবে না।

ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ইউক্রেনকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য মিত্ররা অঙ্গীকারবদ্ধ। সমন্বিত প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে আমরা প্রথমবারের মতো ন্যাটোর রেসপন্স ফোর্স মোতায়েন করতে যাচ্ছি। ভুল বোঝাবুঝি বা ভুল হিসাবের কোনও অবকাশ নেই। প্রত্যেক মিত্র দেশ ও ন্যাটো ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় আমরা সবকিছু করব।