Ukraine War: বিশ্বে উদ্বেগ, কৃষ্ণসাগরের বন্দরে রুশ হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য নষ্ট

কৃষ্ণসাগরের তীরে ইউক্রেনের জমিতে ভয়াবহ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিশ্বজোড়া খাদ্য শস্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, রাশিয়া গভীর রাতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা…

কৃষ্ণসাগরের তীরে ইউক্রেনের জমিতে ভয়াবহ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিশ্বজোড়া খাদ্য শস্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, রাশিয়া গভীর রাতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (Ukraine War) চালিয়েছে দক্ষিণ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে। বিপুল মজুত খাদ্য শস্য নষ্ট হয়েছে। ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম খাদ্য শস্য রফতানিকারক দেশ। কমপক্ষে ৬০ হাজার টন শস্য নষ্ট হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম আবার “উল্লেখযোগ্যভাবে” বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ইউক্রেন জানিয়েছে, হামলায় শস্য ও তেলের টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রকের মতে, বোমা হামলায় ওডেসা বন্দর এবং কাছাকাছি চোরনোমর্স্কের রপ্তানির পথগুলি বিকল করে দিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে যে কৃষ্ণ সাগরের কিছু অংশে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজ চলাচলের জন্য “সাময়িকভাবে বিপজ্জনক”। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা।ব্ল্যাক সি গ্রেন ইনিশিয়েটিভ চুক্তি অর্থাত কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী দেশগুলির শস্য বাণিজ্য চুক্তি থেকে রাশিয়া বের হয়ে আসার পর ইউক্রেনের শস্য রফতানিতে বিরাট আঘাত করল রাশিয়া।

ইউক্রেনের তরফে রাশিয়ার কিছু অংশে চলেছে হামলা। বিবিসি জানাচ্ছে, রুশ-ইউক্রেন সংঘর্ষের কারণ, ইউক্রেনের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব চলা ন্যাটো সামরিক জোটের অংশীদার হতে চায় ইউক্রেন। এই চেষ্টা রুখতে রাশিয়া মরিয়া। একবার ন্যাটো অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেলে ইউক্রেনে যে কোনও হামলায় সরাসরি প্রত্যাঘাত করতে পারবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।