Ukraine Crisis: যুদ্ধ আশঙ্কায় লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় রাশিয়া ছাড়ছেন 

জরুরি অবস্থা জারি করে দ্রুত নিজ দেশের নাগরিকদের রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ দিল ইউক্রেন সরকার। বিবিসি জানাচ্ছে, কমপক্ষে তিন লক্ষ ইউক্রেনীয় থাকেন রাশিয়ায়। অনেকের আত্মীয়রা দুই…

Russia-Ukraine Crisis

জরুরি অবস্থা জারি করে দ্রুত নিজ দেশের নাগরিকদের রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ দিল ইউক্রেন সরকার। বিবিসি জানাচ্ছে, কমপক্ষে তিন লক্ষ ইউক্রেনীয় থাকেন রাশিয়ায়। অনেকের আত্মীয়রা দুই দেশের মধ্যে ছড়িয়ে আছেন। (Ukraine Crisis)

ইউক্রেন জুড়ে আতঙ্ক। তবে রুশ সেনার হামলা রুখতে তৈরি হচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ শহরের দিকে রুশ সেনার অগ্রগতি হতে পারে। বিবিসির খবর, রুশ সেনা ও ট্যাংক বহরের দখলে ইউক্রেনের দুটি অঙ্গরাজ্যে এখন ইউক্রেন সরকারের কোনও ক্ষমতা নেই। সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দুই অঞ্চল ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

   

ইউক্রেন পরিস্থিতি এক নজরে জেনে নিন

১. ইউক্রেন জুড়ে ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি।

২. ফের মারাত্মক সাইবার হামলার আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইট স্তব্ধ। সরকারি কাজ শিকেয় উঠেছে।

৩. ইউক্রেন জুড়ে শুরু হয়েছে রুশ হামলা রোখার প্রস্তুতি।

৪. ব্রিটেন পাঠাচ্ছে সেনা। আগে থেকে উপস্থিত মার্কিন নেতৃত্বে চলা ন্যাটো বাহিনী।

রাশিয়া পরিস্থিতি কেমন 

১. দুটি ইউক্রেনীয় রাজ্য এখন রুশ দখলে। সেখানে রুশ সেনার পূর্ন নিমন্ত্রণ।

২. মস্কোর বিশেষ নির্দেশে রুশপন্থী গোষ্ঠী চালাচ্ছে শাসন।

৩. ইউক্রেনে গড়াচ্ছে রুশ ট্যাংক বহরের চাকা।

৪. ক্রেমলিন থেকে সব পরিচালনা করছেন পুতিন।

ইউক্রেনের উপর রাশিয়া পুরোমাত্রার হামলা করবে। এই হামলা হবে সম্ভবত আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের এমন মন্তব্যে বিশ্ব জুড়ে আবার শোরগোল পড়েছে। একইসঙ্গে ফের জ্বালানি মূল্যে লাগছে আগুন। এর আগে জার্নান গোয়েন্দা বিভাগ যে দিন বলেছিল সেই দিনই সাইভার হামলায় পর্যুদস্তু হয় ইউক্রেন। তার পরেই দেশটির দুটি রাজ্য নিজেদের দখলে জুড়ে নেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। 

অস্ট্রেলিয়ার এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়ে গেছে। তিনি রাশিয়ার এমন পদক্ষেপের কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। মরিসন বলেন, ইউক্রেনে পুরোমাত্রায় হামলার জন্য রাশিয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে।