শান্তিতেই মিটল চতুর্থ দফা, ভোট পড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ

মোটের উপর নির্বিঘ্নেই কাটল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচন। এদিন নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন বুথে ভোট পড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ।…

মোটের উপর নির্বিঘ্নেই কাটল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচন। এদিন নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন বুথে ভোট পড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। শেষ পাওয়া খবরে দেখা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পিলভিটে। তারপরই রয়েছে লখিমপুর খেরি।

বুধবার যেসমস্ত নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পিলভিট, সীতাপুর, হরদোই, লখিমপুর খেরি, ফতেপুর, উন্নাও, লখনউ, রায়বরেলি প্রভৃতি। দু-একটি বুথে কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ছাড়া মোটের উপর এদিনের ভোটগ্রহণপর্ব ছিল শান্তিপূর্ণ। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি বুথে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। তবে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমিশনের লোকজন দ্রুত ত্রুটিপূর্ণ মেশিনগুলি বদলে দেন।

এদিন ভোট গ্রহণ চলাকালীন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেন, বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির লোকজন তাঁদের সমর্থকদের হুমকি দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে এই দুই দল রীতিমত আতঙ্কে ফেলে। যদিও সমাজবাদী পার্টি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। সপার পাল্টা দাবি, রাজ্যের শাসক দল বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের তাদের ভোট দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে। ভোটারদের প্রভাবিত করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছে গেরুয়া শিবির। বহু জায়গায় বুথ জ্যাম করে ভোটদানের হার ধীর করে দিয়েছে তারা। তবে বিজেপি যথারীতি কংগ্রেস ও সপার তোলা এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। গেরুয়া দলের পাল্টা দাবি, পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এ ধরনের অভিযোগ করছে সপা। আর কংগ্রেস তো লড়াইয়ের ময়দানেই নেই। তাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিজেপি।

চতুর্থ দফায় উত্তরপ্রদেশে ৫৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রার্থীদের ভাগ্য ইভিএম বন্দি হয়েছে। এদিনের ভোটগ্রহণের পর রাজ্যের প্রধান দুই প্রতিপক্ষ সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপি উভয় দলই দাবি করেছে তারাই জিততে চলেছে।