নয়াদিল্লি: অপেক্ষার অবসান! ঘোষিত হল ২০২৫-এর নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize) বিজেতার নাম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নন, ভেনিজুয়েলার একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে যিনি গণতন্ত্রকে রক্ষার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই মারিয়া কোরিনা মাচাদো (Maria Corina Machado) সম্মানিত হলে ২০২৫-এর নোবেল শান্তি পুরস্কারে।
ভেনিজুয়েলার ‘নিষ্ঠুর’ শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন মারিয়া (Maria Corina Machado)। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেছেন যে মাচাদোকে “গভীরভাবে বিভক্ত রাজনৈতিক বিরোধী দলের মূল, ঐক্যবদ্ধ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। অবাধ নির্বাচন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবিতে তিনি গর্জে উঠেছিলেন।”
ফ্রাইডনেস আরও বলেন, “গত একবছর মাচাদোকে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য করা হয়। প্রাণঘাতি হুমকি সত্ত্বেও, নিজের দেশ ছেড়ে যাননি তিনি। তাঁর সাহস, প্রতিবাদ এবং ন্যায্য দাবী লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। যখন কর্তৃত্ববাদীরা ক্ষমতা দখল করে, তখন স্বাধীনতার সাহসী রক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা উঠে দাঁড়ায় এবং তা প্রতিরোধ করে।”
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে মাচাদোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করে। এডমুন্ডো গঞ্জালেজ, যিনি আগে কখনও পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি, মাচাদর পরিবর্তে তাঁকে প্রার্থী করা হয়। ভেনিজুয়েলায় নির্বাচনের আগে ব্যাপক দমন-পীড়ন দেখা যায়।
ধরপাকড়, মানবাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ায় দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাদুরোর অনুগততে ভরা ভেনিজুয়েলার জাতীয় নির্বাচনী কাউন্সিল তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করার পর মানুষের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। নির্বাচনী কাউন্সিল কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল দেশজুড়ে বিক্ষোভের সুত্রপাত হয়। যার বিরুদ্ধে সরকার জোরপূর্বক প্রতিক্রিয়া জানায় এবং ২০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়।
মাচাদো আত্মগোপন করেন।