ওয়াশিংটন: কুর্সিতে বসেই একের পর এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তিনি এবার চাইছেন কর্মদক্ষ ও গুণী মানুষেরা যাতে সে দেশে আসেন।
এইচ১বি ভিসা নিয়ে পদক্ষেপ
এইচ১বি ভিসা নিয়ে বিতর্ক এখনও থামেনি৷ সেই বিতর্ককে সঙ্গী করেই সোমবার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ট্রাম্প। ট্রাম্প: ২ জমানায় এইচ১বি ভিসা নিয়ে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনার মাঝেই অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি৷ যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জানান, ‘‘এইচ১বি ফরেন গেস্ট ওয়ার্কার ভিসা নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ আমি দুটি পক্ষের যুক্তিকেই সমর্থন করি, তবে আমি চাই দক্ষ এবং গুণী লোকেরা আমাদের দেশে আসুক। এমনকি যাঁদের যোগ্যতা নেই, এমন ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ এবং সাহায্য করার জন্যেও যদি কেউ এগিয়ে আসেন, আমি তাঁকেও পছন্দ করি।” তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশে এমন মানুষদের দরকার, যাঁরা আমাদের অর্থনীতি এবং ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে৷’’
পক্ষে ও বিপক্ষে
এইচ১বি ভিসা নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে বিতর্ক অব্যাহত। কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি, যেমন টেসলা সিইও ইলন মাস্ক, এই ভিসার সমর্থক৷ তিনি মনে করেন, এই ধরণের ভিসা থাকলে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে দক্ষ পেশাদারদের আনার সুযোগ তৈরি হয়। তবে, কিছু সমালোচক, বিশেষ করে ট্রাম্পের কিছু সমর্থকের দাবি, এই ভিসা আমেরিকান শ্রমিকদের জন্য হিতকর নয়৷ এটি চাকরি হারানোর ঝুঁকি তৈরি করছে।
ট্রাম্প বলেন, “আমি এইচ১বি খুব ভাল করে বুঝি। সুরা বিশেষজ্ঞ কিংবা রেস্তরাঁয় কর্মদক্ষ পরিবেশক সব ক্ষেত্রেই উৎকৃষ্ট মানুষের প্রয়োজন। আমি চাই যাঁরা সত্যিকারের যোগ্য, কর্মদক্ষ মানুষ, তাঁরা এ দেশে আসুন। এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমেই আমরা এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারব৷”
গুণী লোকের সন্ধানে ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তৃতায় আরো যোগ করেন, “আমাদের দেশকে এমন গুণী লোকদের দরকার, যারা কেবলমাত্র নিজেদের দক্ষতা নিয়ে আসে না, বরং আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতির জন্য নতুন দিশা খুলে দেয়।’’
উল্লেখ্য, কর্মসূত্রে যাঁরা আমেরিকায় যান, তাঁদের এইচ১বি ভিসা করাতে হয়। বর্তমানে আমেরিকায় এইচ১বি ভিসা হোল্ডারদের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ ভারতীয়। এই ভিসায় কোনও ব্যক্তি ছ’বছরের জন্য আমেরিকায় থাকতে পারেন। প্রথমে তিন বছরের জন্য এইচ১বি ভিসা দেওয়া হয়। পরে আরও তিন বছরের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ ২০২০ সালে এইচ-১বি ভিসা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল মার্কিন সরকার৷ সেই সময় কুর্সিতে ছিলেন ট্রাম্প৷ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এই নিয়ে ফের পদক্ষেপ করলেন তিনি৷