ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) দাবি করেছেন যে, তিনি ভারত-পাকিস্তান সহ বিশ্বের ছয়টি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। সুতরাং তিনি যে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নোমিনেশন তা তিনি আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এমনকি তিনি নরওয়ের অর্থমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গকে ফোন করে এই পুরস্কারের জন্য নিজের দাবি জানিয়েছেন।
নরওয়ের ব্যবসায়িক পত্রিকা ডাগেন্স নারিংসলিভ জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে স্টলটেনবার্গ যখন অসলোর রাস্তায় হাঁটছিলেন, তখন ট্রাম্প হঠাৎ তাঁকে ফোন করেন। তিনি নোবেল পুরস্কারের পাশাপাশি বাণিজ্য শুল্ক নিয়েও কথা বলেন। ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা পাকিস্তান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মনোনয়ন পেয়েছে।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে (২০১৭-২০২১) বলেছিলেন, তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি নতুন কোনো যুদ্ধে সৈন্য পাঠাননি। তিনি বারবার অভিযোগ করেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা “কিছুই না করে” নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেন, “ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আট মাসের মধ্যেই নোবেল পেয়ে যান।
তিনি জানতেনই না কেন পুরস্কার পেলেন। আমিও তো নির্বাচিত হয়েছি, কিন্তু আমাকে কেউ পুরস্কার দেয় না।” গত অক্টোবরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে “পারমাণবিক যুদ্ধ” ঠেকিয়েছেন, সার্বিয়া-কসোভোর মধ্যে শান্তি স্থাপন করেছেন, মিশর-ইথিওপিয়ার মধ্যে উত্তেজনা কমিয়েছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে আব্রাহাম অ্যাকর্ডের মাধ্যমে শান্তি এনেছেন।
গত জুন মাসে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “আমি ভারত-পাকিস্তান, সার্বিয়া-কসোভো, মিশর-ইথিওপিয়া, আব্রাহাম অ্যাকর্ড, রাশিয়া-ইউক্রেন, এবং ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে শান্তি এনেছি। কিন্তু আমি নোবেল পুরস্কার পাব না।
তাতে কিছু যায় আসে না, কারণ জনগণ আমার কাজ জানে, এটাই আমার কাছে যথেষ্ট।” তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিটও বলেছেন, “নোবেল কমিটির এখনই ট্রাম্পের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।”
নরওয়ের অর্থমন্ত্রী স্টলটেনবার্গ বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে নোবেল পুরস্কারের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। নরওয়ের পার্লামেন্ট নোবেল কমিটির পাঁচ সদস্য নিয়োগ করে, কিন্তু সরকার এই পুরস্কারের সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব ফেলে না।
পাকিস্তান, ইসরায়েল, কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মতো দেশ ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে এই মনোনয়নগুলো ২০২৬ সালের পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
শুভমন নাকি যশস্বী, এশিয়া কাপে ভারতের ভরসা মুখ কারা? রইল সম্ভাব্য দল
ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং তাঁর দাবি নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলছে। তাঁর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কতটা ফলপ্রসূ, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। সবার নজর এখন নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত এবং ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।