Ukraine War: দেশকে রক্ষা করতে হাতে অস্ত্র তুলে নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী

দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহবানে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিলেন ইউক্রেনের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ ইউরাশ সোভিয়াতোস্লাভ। দেশ রক্ষার লড়াইয়ে সামনে থেকে শত্রুসেনার মোকাবিলা করতে চান…

দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহবানে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিলেন ইউক্রেনের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ ইউরাশ সোভিয়াতোস্লাভ। দেশ রক্ষার লড়াইয়ে সামনে থেকে শত্রুসেনার মোকাবিলা করতে চান বছর ২৮-এর এই তরুণ। এই তরুণ সাংসদের সঙ্গে আবার কলকাতার একটা যোগাযোগ রয়েছে।

২০১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন ইউরাশ। বেশ কিছুদিন তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করেন। পরে অবশ্য তিনি ইউক্রেন ফিরে গিয়েছিলেন।

রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পরেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষও যেন দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসেন। যারা দেশ রক্ষার কাজে এগিয়ে আসবেন সরকার তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেবে। সরকারের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বহু সাধারণ নাগরিক এগিয়ে এসেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে ইউক্রেন সরকার।

সেনা ও আমজনতার মনোবল বাড়াতে এবারের লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন ইউক্রেনের একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও সাংসদ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ ইউরাশ। রবিবার ইউরাশ বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে সেনার পাশাপাশি ইউক্রেনের সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসবে। আমাদের যা আছে তা নিয়েই আমরা লড়াই করব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আমাদের যে সাহায্য করবে তাও গ্রহণ করব। মনে রাখতে হবে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই লড়াই শুধু ইউক্রেনের একার নয়। কারণ রাশিয়া একের পর এক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আইনের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে আমাদের সকলকে একযোগে লড়তে হবে।

ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ইউরাশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কার্যত দেশের যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন ইউরাশ। উল্লেখ্য ‘সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল পার্টির প্রতিনিধি হিসাবে দেশের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

ইউরাশের মতই সে দেশের মহিলা সাংবাদিক কিরা রুডিকের বন্দুক হাতে একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নিজের ছবি পোস্ট করে রুডিক ট্যুইট করেছেন, আমি এখন কালাশনিকভ চালাতে শিখছি। কয়েকদিন আগে অস্ত্র চালানোর কথা আমি কল্পনাও করিনি। কিন্তু দেশ বাঁচাতে এখন আমরা পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব। রাশিয়ার জানা উচিত, ইউক্রেনের মহিলারাও দেশ বাঁচাতে পিছপা নয়।