টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে অতল সমুদ্রে নিখোঁজ পর্যটকবাহী একটি সাবমেরিন (Submarine Missing)। মধ্য আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিনের সন্ধানে চলছে তল্লাশি অভিযান। রবিবার সমুদ্রে যাওয়ার পর এই সাবমেরিনের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর তখন থেকেই সাবমেরিনের সন্ধানে নিয়োজিত রয়েছে অনুসন্ধান দল।
ট্যুর কোম্পানি ওসেনগেট জানায়, ছোট ওই সাবমেরিনে পাঁচজন ছিলেন। এই ঘটনায় সব থেকে বেশি বিপজ্জনক হলো নিখোঁজ সাবমেরিনে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে, যার ফলে তার মধ্যে থাকা লোকজনের জীবন বিপন্নের আশঙ্কা রয়েছে। কোম্পানির দাবি, সাধারণত এই সাবমেরিনে জরুরি পরিস্থিতিতে চার দিন অক্সিজেন থাকে। ওই সাবমেরিনে থাকা পাঁচ জনের মধ্যে ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিংও রয়েছেন।
নিখোঁজ সাবমেরিন সম্পর্কে মার্কিন কোস্টগার্ড জানিয়েছেন, জলের নীচে যাওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ট্যুর কোম্পানি ওসেনগেট বলেছে যে, “আমরা সাবমেরিনটি খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তবে এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো ধরনের সাফল্য পাইনি। অন্যদিকে আমেরিকা ও কানাডার নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিকভাবে সমুদ্রের গভীরে যাওয়া কোম্পানিগুলো এই অনুসন্ধান অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে।
সাবমেরিনটি নিখোঁজ হওয়ার পর মার্কিন কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা অনুমান করছি যে সাবমেরিনটি খুঁজে পেতে আমাদের ৭০ ঘণ্টা থেকে ৯৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। এমন পরিস্থিতিতে সময় ক্রমাগত কমছে। ফলে সাবমেরিনে থাকা মানুষদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে”।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার আগে ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছিলেন, ” আমি গর্বিত যে আমি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার একটি অংশ। তথ্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নিউফাউন্ডল্যান্ডে গত চার দশকের সবচেয়ে খারাপ শীতের কারণে ২০২৩ সালে টাইটানিক দেখতে যাওয়ার এটাই একমাত্র মানব মিশন হতে পারে। তার পরবর্তী যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আবহাওয়ার কারণে একটি সুযোগ হয়েছে এবং আমরা আগামীকাল অতল সমুদ্রে যাওয়ার চেষ্টা করবো”। তিনি আরো বলেছিলেন যে তাঁদের দলে কয়েকজন বিখ্যাত অভিযাত্রী রয়েছেন, যারা তাঁর সঙ্গে সমুদ্রের গভীরে যাবেন।


