নয়াদিল্লি: ভিসা-শুল্ক ত্রাসে ভারতকে কোণঠাসা করার আবহে বন্ধ হয়ে গেল আমেরিকার (America) দোকানপাট-অফিস। কর্মচারীদের বেতনও বন্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য। মধ্যরাত পর্যন্ত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে আলাপচারিতাতেও হল না সুরাহা। ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশ্যে গতকালই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।
মঙ্গলবার সেনেটের ভোটাভুটিতে ৬০টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রিপানলিকানরা (Republican) ৫৫-৪৫ ভোটে পরাজিত হয়। যার অর্থ বুধবার থেকে মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতো “প্রয়োজনীয়” কার্যক্রম ছাড়া সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
অতি-জরুরী ছাড়া আমেরিকার সব পরিষেবা বন্ধ!
এই শাটডাউনের (Shutdown) ফলে বন্ধ হয়ে গেল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, গ্রাহক পরিষেবা এবং অন্যান্য “অ-জরুরী” কাজ পরিচালনাকারী সমস্ত অফিস। এর ফলে আটকে যাবে হাজার হাজার কর্মীর বেতন।
কেবলমাত্র সীমান্তরক্ষী, সামরিক কর্মী এবং “প্রয়োজনীয়” ছত্রছায়ার আওতায় আসা অন্যান্য কাজ বহাল থাকবে। অচলাবস্থার সরাসরি প্রভাব প্রায় ৯ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর উপর পড়বে।
অনিশ্চয়তার অন্ধকারে আমেরিকা
ক্যাপিটল হিলে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের (Democrat) মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় আমেরিকার সরকারি অচলাবস্থা কতদিন চলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ১৯৮১ সাল থেকে মার্কিন কংগ্রেস ১৫ বার শাটদাউন করেছে। যার বেশিরভাগই এক বা দুই দিনের জন্য স্থায়ী হয়েছিল।
তবে, ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রথম মেয়াদে সাম্প্রতিকতমটি শাটডাউন ছিল আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম। ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ৩৫ দিনের জন্য ‘স্তব্ধ’ হয়ে গিয়েছিল আমেরিকা। রিপাবলিকানরা বলেছেন যে তারা স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত বিরোধগুলি সমাধানের জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে সমঝোতা না হলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।