প্রায় ৯০ শতাংশ ইসলাম অনুসারী বাংলাদেশ। আর এ দেশেই হয় বিশ্বের সবথেকে বেশি মূর্তি নিয়ে একটি দুর্গাপূজা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মীয়দের সব থেকে বড় দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে কড়া নিরাপত্তায়। চলছে প্রতিমা ও প্যান্ডেলের কাজ। শিকদার বাড়ির পূজা দেখতে এখন থেকেই ভিড় বাড়ছে। ৫০১টি মূর্তি নিয়ে অভিনব এই পূজার আয়োজন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা থাকছে।
বাংলাদেশের বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদার বাড়ির দুর্গাপূজা করোনা সংক্রমণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি মূর্তি নিয়ে পালিত দুর্গাপূজার স্থান দখল করে নিয়েছিল। তবে ৩বছর পর এবার ৫০১টি প্রতিমা নিয়ে আগের রূপে ফিরছে শিকদার বাড়ির দুর্গাপূজা।
আর তাই শিকদার বাড়ির প্রতিমাশিল্পীরা এখন চরম ব্যস্ত। ৬৫ ফুট লম্বা কুম্ভকর্ণের প্রতিমাসহ ৫০১টি প্রতিমা তৈরি হচ্ছে সেখানে ।২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা তৈরি কাজ চলছে জোর কদমে।
প্রতিমাশিল্পী তপন মন্ডল বলেন, এবছর এ মন্ডপে হিন্দু পুরাণের চার যুগের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে ৫০১টি প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। এই দুর্গা মন্ডপের প্রধান আকর্ষণ ৬৫ ফুট ঘুমন্ত কুম্ভকর্ণের প্রতিমা।বেশিরভাগ মূর্তির কাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন রং করার পালা। মোট ১৫ জন ভাস্কর-শিল্পী প্রতিমা তৈরি ও সাজ-সজ্জার কাজ করছেন।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটি বাগেরহাটের সভাপতি নিলয় কুমার ভদ্র বলেন,অনেক দেব দেবীর প্রতিমা তৈরি করে পূজার আয়োজন করা হয় বলে হাকিমপুর শিকদার বাড়িত বাড়ির দুর্গা মন্ডপকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গা মন্ডপ বলা হয়। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার অনেক পুণ্যার্থী এ মন্দিরে আসে। এবছর পূর্বের ন্যায় আড়ম্বর ও বিশেষ আকর্ষণসহ ৫০১টি প্রতিমা নিয়ে উৎসব উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
এখন থেকেই শিকদার বাড়ির পুজো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। খুলনা থেকে প্রতিমা তৈরি দেখতে আসা রমেশ মন্ডল বলেন, করোনা শুরুর আগে এই মন্ডপে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন করে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে জেনে এ বছর আগেই দেখতে এলাম। প্রতিমা তৈরি দেখেই আমি অভিভূত।